সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :সাতক্ষীরার ব্রম্মরাজপুর ইউনিয়নের রেজাউল করিম মিঠু মেম্বর একজন আদমপাচারকারী। তার বিরুদ্ধে আদমপাচারের মামলাও রয়েছে আদালতে। এই মিঠু মেম্বর একজন চাঁদাবাজ। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে আপনাদের দ্বারস্থ হয়েছি।
শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে একথা বলেন ব্রম্মরাজপুর ইউনিয়নের বড়খামার গ্রামের আফিল উদ্দিন ওরফে কফিলউদ্দিনের স্ত্রী ফরিদা বেগম। এ সময় তার সাথে ছিলেন আদম আলি, আবদুল হাই, ছাবিনা খাতুন, রাশিদা খাতুন, সালমা খাতুন, সায়রা খাতুন ও রহিমা বেগমসহ গ্রামের অনেকেই।
লিখিত বক্তব্যে ফরিদা বেগম বলেন রিয়াজউদ্দিনের পুত্র কামরুল ও কবিরদের সাথে জমি নিয়ে মামলায় ২০১৫ সালে আমার পক্ষে আদালত রায় দেয়। এই রায় পাবার পরই মিঠু মেম্বর কামরুল ও কবিরের সাথে জোট হয়ে জমির ঘেরা বেড়া ভেঙ্গে দেয়। এ নিয়ে আরও একটি মামলা রয়েছে আদালতে। এ অবস্থায় মিঠু মেম্বর তার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা চায়। না দিলে সে ফরিদাকে হুমকি দেয়। এক যুবকের সাথে তার ভাইজির পালিয়ে যাবার ঘটনায় বড় খামারের আবদুল হাই ও ফরিদার ছেলে আদম আলিসহ কয়েকজনের নামে মিঠু মেম্বর মামলা করে। এই মামলা থেকে রেহাই দেওয়ার কথা বলে সে দুই লাখ টাকা চাঁদা চায়। চাঁদা না দেওয়ায় আবদুল হাই ও আদমকে জেল খাটতে হয়। জামিনে এসে তারা পুলিশ সুপারের সহযোগিতা চেয়ে আবেদন করেছেন। ফরিদা জানান তার ছেলে আদম জেলে থাকা অবস্থায় মিঠু মেম্বর , কামরুল ও কবির রাতের আঁধারে তার স্বামীর কবরসহ জমি দখল করে নেয়। মিঠু মেম্বর তার গ্রামের অহেদ আলির মেয়ে ছাবিনা ও তহমিনার কাছ থেকে দফায় দফায় চাঁদা আদায় করে। তার ভয়ে গ্রামের মানুষ আতংকিত।
ফরিদা বেগম মিঠুর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
