গাজীপুর সংবাদদাতাঃআলিম পরীক্ষায় এবারো দেশসেরা ফলাফল অর্জন করেছে টঙ্গীর তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসা। মাদরাসাটির মোট ৬১৭ জন আলিম পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২৪৫ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। বাকি অধিকাংশই ‘এ’ গ্রেডে উত্তীর্ণ হয়েছে। মাদরাসা কর্তৃপক্ষ জানায়, এবার দু’জন পরীক্ষার্থী অসুস্থতার কারণে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে নাই। অপর একজন পরীক্ষার্থী সরাসরি অকৃতকার্য হয়েছে। ফলে মোট ৬১৭ জন পরিক্ষার্থীর মধ্যে উত্তদীর্ণ হয়েছে ৬১৪ জন। এবছর মাদরাসাটির পাসের হার ৯৯.৫২। তাদের মধ্যে বিজ্ঞান শাখায় ১১৮ ও সাধারণ শাখায় ১২৭ জন জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। ‘তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসা-টঙ্গী’ নামে স্বাতন্ত্র ও স্বয়ংসম্পূর্ণ ক্যাম্পাস চালুর পর এটিই এর প্রথম ফলাফল।
এদিকে এইসএসসি পরীক্ষায় এবছর টঙ্গীতে ভয়াবহ ফল বিপর্যয় ঘটেছে। গাজীপুর জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে খ্যাত টঙ্গীর সফিউদ্দিন সরকার একাডেমী এন্ড কলেজ থেকে বিগত বছরগুলোতে যেখানে শতাধিক ছাত্রছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়ে প্রায় শতভাগ উত্তীর্ণ হতো এবছর প্রতিষ্ঠানটি থেকে ৭৮৬ জন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষা দিয়ে মাত্র ৪২ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। এ বছর অকৃতকার্য হয়েছে ৭২ জন। এক সময় ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে সেরা দশে স্থান পাওয়া এ প্রতিষ্ঠানের এ ফলাফল লজ্জাজনক বলে অভিভাবকদের মন্তব্য করতে শোনা গেছে।
এবছর টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজ থেকে ৩৬৫ জন পরীক্ষা দিয়ে ২৫৯ জন উত্তীর্ণ হলেও জিপিএ-৫ পেয়েছে মাত্র ১জন। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ফেল করেছে ১০৬ জন পরীক্ষার্থী। টঙ্গী সরকারি কলেজ থেকে ১১৪৪ জন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে মাত্র ৬১৪ জন। অকৃতকার্য হয়েছে ৫৩০ জন। সরকারি এ কলেজ থেকে কেউ জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হতে পারেনি। সিরাজ উদ্দিন সরকার বিদ্যানিকেতন এন্ড কলেজ থেকে ১২৪ জন পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে ১০১ জন। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ৪ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠানটিতে ফেলের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম। সাহাজ উদ্দিন সরকার স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ২৬০ জন পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে ১৪৮ জন। অকৃতকার্য হয়েছে ১১২ জন ছাত্রছাত্রী। এর মধ্যে একজনও জিপিএ-৫ পায়নি। টঙ্গীর সাতাইশ কলেজ থেকে ৭৩ জন পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে মাত্র ৩৫ জন। অকৃতকার্য হয়েছে ৩৮ জন। টঙ্গী কমার্স কলেজ থেকে ৯১ জন পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে ৪৯ জন। ফেল করেছে ৪২ জন। এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় টঙ্গী শিল্পাঞ্চলের কলেজগুলোতে এ ধরনের ভয়াবহ ফল বিপর্যয়ের কারণে ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের মাঝে হতাশা নেমে এসেছে।
###
মোঃ রেজাউল বারী বাবুল