মোস্তফা কামালঃ শ্যামনগর উপজেলার সর্বত্রই একটানা গত ৪দিন যাবৎ অবিরাম ভারী বৃষ্টির কারণে সকল শ্রেণী পেশার মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা দারুন ভাবে ব্যাহত হয়েছে। এই উপজেলার উপকুলীয় ৬টি ইউনিয়নের বেশীর ভাগ ধান ফসলী জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, প্রতিটি ইউনিয়নের অধিকাংশ আমন বীজতলা পানিতে ডুবে আছে। এ ছাড়া কয়েক শত মৎস্য ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে। গ্রামের অধিকাংশ কাচা রাস্তা ঘাট পানির নীচে। নি¤œ এলাকার কাচাঘর বাড়ী ধসে পড়ার উপক্রম।শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির সংখ্যা ছিল খুবই নগন্য, হাটবাজার, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ক্রেতা শূণ্য প্রায়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়ী বাধের অবস্থা সবচেয়ে নাজুক। গাবুরা ইউপি চেয়ারম্যান আলী আজম টিটো জানান, গাবুরার প্রায় ৩০ জায়গায় বেড়ীবাধ মারাতœক ঝুঁকিতে থাকায় যে কোন মুহুর্তে গাবুরা প্লাবিত হতে পারে। বুড়িগোয়ালিনী, আটুলিয়া, কাশিমাড়ী, রমজাননগর,পদ্মপুকুর, কৈখালী ও মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের বেড়ী বাঁধের অনেকাংশ মারাতœক ঝুঁকির মধ্যে। অবিরাম বর্ষণে স্বল্প প্রস্থের বেড়ী বাঁধের অনেক জায়গায় জোয়ারের পানি উপচে পড়ার উপক্রম প্রায়। পাউবোর পক্ষ থেকে এ সব ঝুঁকিপূর্ণ বেড়ী বাঁধ মেরামতের কোন ব্যবস্থা লক্ষ্যকরা যাচ্ছে না। স্থানীয়রা নিজ উদ্যোগে স্বেচ্ছা শ্রমের মাধ্যমে এ সব বাঁধ সংস্কার চেষ্টা করছে। জলাবদ্ধতা সৃষ্ঠিও প্রকট। এলাতাবাসী জানায়, অপরিকল্পিত ভাবে চিংড়ী সহ অন্য মৎস্য চাষ করার কারনে জরুরী পানি নিষ্কাষনের ব্যবস্থা বাধা গ্রস্থ হয়েছে। জরুরী পানি নিষ্কাষনের খাল গুলো এক শ্রেণীর ভূমি দস্যুরা নেট,পাটা দিয়ে ও মাটি ভরাট করে দখলে রেখেছে।
শ্যামনগরের নওয়াবেঁকী কলেজ উপজেলা সেরা
শ্যামনগর ব্যুরো ঃ শ্যামনগরের নওয়াবেঁকী মহাবিদ্যালয় এইচ, এস, সি, পরীক্ষায় পাশের শতকরা হারে টানা তিন বার উপজেলা সেরা হয়েছে। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইকরামুল কবীর বাবলু জানান,এ কলেজ থেকে ২০১৭ সালের এইচ, এস, সি, পরীক্ষায় ১৫৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১২১ জন পাশ করেছে। এ গ্রেড ২৩ জন, এ- ৪২ জন, বি ৪৫,সি ১০, ডি গ্রেড ১ জন।এ কলেজের পাশের হার ৭৮.০৬%। কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি এ্যাডঃ জহুরুল হায়দার বাবু(বিশেষ পি,পি) সকল জিবি সদস্য, শিক্ষক, অভিভাবক,শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীকে এ ধরণের ফলাফলে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন।