সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
সাতক্ষীরায় হিজবুল্লাহ যুব সংঘের নামে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা না দেয়ায় অশাশুনির বড়দল গ্রামের জঙ্গী নেতা আইয়ুব আলী সরদার ও শামছুর গাজী পুলিশকে মিথ্যে তথ্য দিয়ে মিন্টু গাজীকে মিথ্যে মামলায় গ্রেফতার করিয়ে হয়রানি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রোববার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন অশাশুনি উপজেলার বড়দল গ্রামের মৃত শওকত গাজীর ছেলে কাপড় ব্যবসায়ী মিন্টু গাজী।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, জঙ্গী নেতা আইয়ুব আলী সরদার ও শামছুর গাজী গত ১২ মার্চ হিজবুল্লাহ যুব সংঘ পরিচালনার নামে তার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না দিলে তারা অমার ও পরিবারের সদস্যদের ক্ষতি করার হুমকি দেয়। দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দেয়ায় ওই দিন দুপুরে বাড়ি ফেরার পথে বড়দল গাজী বাড়ি জামে মসজিদের সামনে থেকে পুলিশকে ম্যানেজ করে ভূল তথ্য দিয়ে আমাকে গ্রেফতার করায়। দাবিকৃত ৫০ হাজার টাকা না দিলে আমাকে জঙ্গী ও নাশকতা মামলায় চালান করে দিবে বলে পুলিশকে দিয়ে হুমকি প্রদান করে। এসময় তার কাছে থাকা কাপড় বিক্রির ১৮ হাজার টাকা আইয়ুব আলী ও শামছুর গাজীর হাতে দেই। ওই টাকা তারা পুলিশকে দিয়ে আমাকে উল্টো পৃথক দু’টি মামলার আসামী বানিয়ে কোর্ট চালান করে দেয়। তিন মাস কারাগারে থাকার পর আমি জামিনে মুক্তি পেয়ে বেরিয়ে আসি।
তিনি বলেন, আইয়ুব আলী, শামছুর গাজী ও রেজাউল গাজী দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজি করে আসছে। তাদের চাঁদার টাকা না দিলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করা হয়। তাদের কারনে মিথ্যে মামলা জড়িয়ে এলাকার অনেকে সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে। পুলিশকে ম্যানেজ করার নামে সাধারন মানুষের কাছ থেকে টাকা তুলে তারা তাদের গোপন জঙ্গি সংগঠনের পিছনে ব্যয় করছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, জঙ্গী নেতা আইয়ুব আলী সরদার, শামছুর গাজী ও তাদের বাহিনীর সদস্য সুমন সানা, রেজাউল গাজী, আমিরুল গাজী, আনারুল মোল্যা, মিঠুন গাজী, মনু গাজী, গাউস গাজী সহ অনেকে দীর্ঘদিন ধরে হিজবুল্লাহ যুব সংঘের নামে এলাকার সরকার বিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এদের মধ্যে অনেকের নামে নাশকতা, রাষ্ট্রদ্রোহী, সরকার উৎখাতের পরিকল্পনা, হত্যা প্রচেষ্টা ও চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের এই গোপন সংগঠনের নাম প্রকাশ হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে তারা আহওয়াল উম্মত নামে একটি নিউ জেএমবি সংগঠন গড়ে তুলেছে এবং নাশকতাসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তিনি আইয়ুব আলী ও শামছুর গাজী গংদের অত্যাচার, নির্যাতন ও মিথ্যে মামলার দায় থেকে অব্যহতি পেতে এবং উল্লেখিতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে স্বরাষ্ট মন্ত্রী, পুলিশ মহাপরিদর্শক, খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন।