আগৈলঝাড়া উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা গাজী তারিক সালমনের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অমিত কুমার দে মামলাটি খারিজ করে দেন।
মামলার বাদী বরিশাল আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও আওয়ামী লীগ থেকে সাময়িক বহিষ্কৃত নেতা অ্যাডভোকেট ওবায়েদুল্লাহর সাজু মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করলে বিচারক তা মঞ্জুর করে মামলাটি খারিজ করে দেন।
গাজী তারিক সালমন বর্তমানে বরগুনা সদর উপজেলার ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সাময়িক বহিষ্কৃত ওবায়েদুল্লাহ বলেন, শিশুর আঁকা বঙ্গবন্ধুর ‘বিকৃত’ ছবি ছাপানোর বিষয়টি নিয়ে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। পরে ভুলের অবসান হয়েছে। এ কারণে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়, বরগুনার ইউএনও বরিশালের আগৈলঝাড়ার ইউএনও থাকাকালীন ২৬ মার্চের স্বাধীনতা দিবসের নিমন্ত্রণ কার্ড ছাপানো হয়। ওই নিমন্ত্রণপত্রের পেছনের পাতায় বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃত করার অভিযোগ করা হয়।
পরে বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃত করার অভিযোগ তুলে গত ৭ জুন বরিশাল আদালতে পাঁচ কোটি টাকার মানহানি মামলা দায়ের করেন সাজু।
এর প্রেক্ষিতে আদালত সমন জারি করে গত বুধবার ইউএনও গাজী তারিক সালমনকে হাজিরের দিন ঠিক করে দেন।
পরে বুধবার ইউএনও আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। এতে তিনি জানান, আগৈলঝাড়া দায়িত্বপালনকালীন সময় চলতি বছরের ১৭ মার্চ শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
ওই সময় ঘোষণা দেয়া হয় যিনি প্রথম হবেন তার ছবি ২৬ মার্চের স্বাধীনতা দিবসের নিমন্ত্রণ কার্ডে যুক্ত করা হবে। অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য তিনি আদালতে ক্ষমা চেয়েছেন।
পরে তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বরিশাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হোসাইন।
এর কিছুক্ষণ পরে একই আদালতে জামিনের পুনঃবিবেচনার আবেদন করলে ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হোসাইন ইউএনও’র জামিন মঞ্জুর করেন।
এদিকে ইউএনও তারিক সালমনকে হাতকড়া পড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে। দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। এঘটনায় খোদ প্রধানমন্ত্রীও বিস্ময় প্রকাশ করেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সাজুকে আওয়ামী লীগ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এরপরই মামলা তুলে নেয়ার আবেদন জানান সাজু।