রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের অনুলিপি তুলে দেয়ার অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তবে পাসের হার কমের ঘটনায় মন্ত্রী বিস্মিত নন বলে জানান। এর জন্য এসএসসির মতো নতুন পদ্ধতিতে খাতার মূল্যায়নসহ নানা বিষয়কে কারণ হিসেবে তুলে ধরেছেন শিক্ষামন্ত্রী।
শিক্ষামনন্ত্রী বলেন, নতুন পদ্ধতিতে উত্তরপত্রের সঠিক মূল্যায়নের কারণে এ বছর পাসের হার কমেছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, আগে সাধারণ ধারণা ছিল ওজন করে নম্বর দেয়া হয়। এখন আর সে সুযোগ নেই। এখন খাতা দেখেই নম্বর দিতে হয়। এটা আমরা ইতিবাচক বলেই মনে করি।
এ বছর মোট পাস করেছেন ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৯৪২ জন পরীক্ষার্থী। শিক্ষার্থীদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন মোট ৩৭ হাজার ৭২৬ জন শিক্ষার্থী।
গত বছর এ পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৭৪ দশমিক ৭০ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৫৮ হাজার ২৭৬ জন।
এবার ৮টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডর অধীন শুধু এইচএসসি পরীক্ষার গড় পাসের হার ৬৬.৮৪ শতাংশ। গতবার এ হার ছিল ৭২ দশমিক ৪৭ শতাংশ। এছাড়া এবারের জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৩৩ হাজার ২৪২ জন। গতবার পেয়েছিল ৪৮ হাজার ৯৫০ জন।
অন্যদিকে মাদ্রাসা ও কারিগরিতেও গতবারের চেয়ে ফল খারাপ হয়েছে। মাদ্রাসা বোর্ডে এবার পাসের হার ৭৭ দশমিক ২ শতাংশ। এ বোর্ডে ১১ শতাংশের বেশি পাসের হার কমেছে। এখানে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ হাজার ৮১৫ জন। অন্যদিকে কারিগরিতে শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮১.৩৩ শতাংশ। গতবার এ হার ছিল ৮৪.৫৭ শতাংশ। এখানে জিপিএ পেয়েছেন ২ হাজার ৬৬৯ জন।
বেলা একটায় সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ফলের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। সংবাদ সম্মেলনের পরপরই সারা দেশের পরীক্ষার্থীরা ফল জানতে পারবেন।