নাজমুল আলম মুন্না,সাতক্ষীরা। শুক্রবার দুপুরে লাবসা ইউনিয়নের পলিটেকনিক মোড় খালকুলে অবস্থিত মোহর আলীর নাতনির বাল্যবিবাহের সংবাদের খবর পেয়ে সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ সদস্য এ্যাড. শাহনেওয়াজ পারভীন মিলি, এ্যাড. সেলিনা আক্তার শেলি, মানবাধিকার কর্মী বরসা’র সহকারী পরিচালক ও দৈনিক কালের চিত্রের স্টাফ রিপোটার মোঃ নাজমুল আলম মুন্না, লইয়ার মোঃ সাকিবুর রহমান সাকিব হাজির হয়।
ঘটনাটার সুত্রপাত তালা উপজেলার নগরঘাটা ইউনিয়নের ভৈরবনগর গ্রামের দিনমজুর জাকির হোসেনের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রীকে বিয়ের আয়োজন করলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও এলাকার মেম্বার নিশেধ করলে নিজস্ব লোকের শলা-পরামর্শে সাতক্ষীরা জজ কোর্টের সনাক্তকারি লইয়ার এএডভোকেট ফারুক হোসেন এবং বিজ্ঞ নোটারি পাবলিক রেজাউল দৌলা বাচ্চু এভিডেভিটের মাধ্যমে তাদের বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করেন ১৫০ টাকার স্টাম্পে আগরদাড়ি ইউনিয়নের কাশেমপুর গ্রামের মোঃ মনিরুল সরদারের ছেলে আলামিন সরদারের সাথে। যার তারিখ ১৬/৭/২০১৭,সিরিয়াল নং-৭৩১।
সেটিকে মনে প্রানে গ্রহন করে দুই পরিবার শুক্রবার দাদার বাড়ি সাতক্ষীরা সদরের লাবসা ইউনিয়নের পলিটেকনিক মোড় সংলগ্ন খালকুল এলাকায় গোপনে বিয়ের আয়োজন করলে উপরোক্ত ব্যক্তিরা উপজেলা ও জেলা প্রশাসনকে তাৎক্ষণিক অবগত করলে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মাদ নূর হোসেন সজল দুপুর ২.৩০ মিনিটে পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে আসলে খাওয়া দাওয়া ছেড়ে বর,কনেসহ বাড়ির সকলে পালিয়ে যায়। তাৎক্ষণিক এলাকার মেম্বার মনির এবং স্থানীয় মানবাধিকার কর্মী মেহেরুল ইসলাম মনিসহ শতাধিক লোকের সামনে মেয়ের দাদা মোহর আলী, দাদি জোহরা খাতুন, ছেলের দাদা মাহাতাব আলী সরদার, ছেলের খালা তাহমিনা খাতুনের মুচলেকার মাধ্যমে তাদেরকে সতর্কবার্তা দেওয়া হয় যে এই ছেলে এবং এই মেয়েকে সাবালক ও সাবালিকা না হওয়া পর্যন্ত বা ১৮ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত ঘর সংসার না করানোর জন্যে। আর যদি তাদেরকে একত্রে রাখা হয় তাহলে কঠোর শাস্তির ব্যাবস্থা নেওয়া হবে ইউএনও সদর সবাইকে হুশিয়ার করেন। এছাড়া সেখানে ছেলে আলামিন উপস্থিত না থাকায় তাকে রবিবার সদর উপজেলা পরিষদে ছেলেকে নিয়ে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন সদর থানার এস,আই বোরহান মিয়া, এস,আই অনুপসহ সঙ্গীয় ফোর্স।