সাতক্ষীরা সংবাদদাতাঃ সাতক্ষীরা জামায়াতের নায়েবে আমীর,কেন্দ্রীয় জামায়াতের মজলিসুর সুরা সদস্য প্রভাষক মাওলানা রফিকুল ইসলামের জানাযা নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে সাতক্ষীরা পুলিশ শতাধিক জামায়াতের নেতাকর্মীকে আকট করেছে। গতকাল সোমবার বিকাল ৩টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত চলা অভিযানে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটক কৃতরা হলেন সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী এড.আব্দুস সুবহহান মুকুল,আশাশুনি উপজেলা পরিষদেও জামায়াত সমর্থিত ভাইস চেয়ারম্যার শহিদুল ইসলাম,কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা আব্দুর রউফ,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জামায়াত নেত্রী জয়নভ পারভিন, দেবহাটা উপজেলা জামায়াতের মহিলা সভানেত্রী মনওয়ার বেগম,সখিপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সভানেত্রী আনজুয়ারা সহ তাদের পরিবার। কালিগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা মুজাহিদুল ইসলাম, সেক্রেটারী আব্দুল ওহাব । জামায়াতের দেবহাটা আমীর আসাদুজ্জামান মুকুল জানান, তার স্ত্রী সহ ৫৫ জন মত জামায়াতের পুরুষ ও মহিলা জানাযা নামাজ শেষে বাসে করে বাড়ি ফেরার পথে পুলিশ বাস সহ তাদেরকে আটক করে।
এছাড়া যশোর মনিরাম পুর থেকে আসা মহিলা জামায়াতের একটি প্রায়ভেট কার সহ ১৫ জন মহিলাকে আগরদাড়ি থেকে আটক করা হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান। এসময় শহরের কদমতলা মোড় থেকে তালার খলিষ খালিষখালি ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি মাষ্টার শহিদুল ইসলাম সহ,পাঁচ নেতাকর্মী, ,বুদহাটা জামায়াতের আমীর আব্দুস সালাম,শ্রিউলা ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর লুৎফর রহমান,সদর জামায়াত নেতা মাওলানা আব্দুস সবুর,সহ প্রায় ৪০ জন ,আগরদাড়ি মাদ্রাসা মোড় থেকে মিজানুর,মোস্তাফা,জয়নাল সহ ১০ জন,। পুলিশের পক্ষ থেকে কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে অভিজান অব্যহাত আছে বলে জানান তারা। সাতক্ষীরা সদর থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, অভিযান চলছে আটকের সংখ্যা বলা যাবে না তবে এখন পর্যন্ত একশ এর অধিক আটক হয়েছে। কোন কারণে তাদেরকে আটক করা হয়েছে এ বিষয়ে পুলিশ গণমাধ্যাম কে সন্ধা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত কিছুই জানায়নি। এমনকি সাংবাদিকরা থানাতে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়।
সূত্রমতে সাতক্ষীরা জামায়াতের নায়েবে আমীর প্রভাষক মাওলানা রফিকুল ইসলামের জানাযা নামাজ নামাজ আগরদাড়ি মাদ্রাসা মাঠে অনুষ্ঠিত হয় দুপুর দুইটায়। প্রচন্ড বৃষ্টি উপেক্ষা করে নামাজে সহ¯্রাধিক মানুষ অংশ নেয়। নামাজে ইমামতি করেন অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল বারী। পুলিশ প্রহরায় এবং ব্যাপক পুলিশি নজরদারির মধ্যে এ জানাযা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। মরহুমকে দেখতে গেলে পুলিশ নাম ঠিকানা সংগ্রহ করে। পুরা জানাযা নামাজ ভিডিও করেন সাতক্ষীরা ডিবি। এসময় জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
জানাযা নামাজে অংশ নিতে কালিগঞ্জ থেকে একটি রিজার্প বাসে করে ৫০-৬০ জন জামায়াতের নেতাকর্মীরা মরহুমের বাড়িতে আসেন। পরে নামাজ শেষ করে চলে যাওয়ার সময় পুলিশ সাতক্ষীরা বাকাল এলাকা থেকে যাত্রিসহ বাসটি আটক করে সদর থানাতে নিয়ে যায়।
একই সময়ে সাতক্ষীরা কদমতলা মোড়ে নামাজ পড়ে ফেরা লোক জোনকে আটকের উদ্দেশ্যে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। এসময় প্রায় ৪০ জন জামায়াত কর্মী আটক হয়েছে বলে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে জানা যায়।
ব্রেনস্টোক জনিত কারণে তিনি রবিবার খুলনার একটি বেসরকারী হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন।
মরহুমের বাড়ি সাতক্ষীরা সদরের আগরদাড়ি মাদ্রাসার পাশে। রাজনৈতিক কারণে তার বিরুদ্ধে তিন ডর্জন খানিক মামলা রয়েছে বলে পরিবারের দাবী। দীর্ঘ পাঁচ বছর তিনি বাড়ি ছাড়া ছিলেন। পুলিশের দাবী তিনি ওয়ারেন্ট ভুক্ত পলাতোক আসামী ছিলেন।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেরিনা আক্তার জানান, জামায়াতের বেশ কিছু নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে। এখন যাচাই-বাছাই চলছে। যাদের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে কোন মামলা নেই তাদের ছেড়ে দেয়া হবে।
এদিকে, তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে হয়রানির শিকার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বিটিভির জেলা প্রতিনিধি মোজাফফর রহমান এবং বাংলাভিশন টিভি চ্যানেলের জেলা প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিকালে খবর পেয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে আমরা ৭/৮ জন সংবাদ কর্মী থানায় গেলে আমাদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি মারুফ আহমেদের সাথে কথা বলার জন্য তার ব্যবহ্নত মোবাইলে রিং দিলে তিনি তা রিসিভ করেননি।