ডেস্ক: জেরুজালেমে হারাম আল-শরিফ প্রাঙ্গণে ইসরাইলিদের নিরাপত্তাজনিত কিছু ব্যবস্থাকে ঘিরে জর্ডানের সাথে বেশ উত্তেজনাকর পরিস্থিতি চলছিলো।
দেশটির রাজধানী আম্মানে শুক্রবারই সেনিয়ে হাজার হাজার লোক এক বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে।
সেই পটভূমিতে এই গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটলো।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন দূতাবাস প্রাঙ্গণের আশপাশে কর্মরত দুজন কাঠমিস্ত্রি সম্ভবত এই ঘটনার সাথে জড়িত।
স্থানীয় একজন বাসিন্দা বলেছেন তিনি আহত জর্ডানিয় নিরাপত্তা রক্ষীকে পরে থাকতে দেখেছেন।
দূতাবাসের নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে বন্দুকধারীরা ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা চালিয়েছিল বলেও তিনি জানান। তবে সেটি সম্ভব হয়নি।
তার আগেই নিরাপত্তারক্ষীদের পাল্টা গুলির মুখে পড়তে হয় তাদের।
যাতে বন্দুকধারীসহ ২ জন নিহত হয়েছে। নিরাপত্তাবাহিনী দূতাবাস থেকে সকল কর্মীকে সরিয়ে নিয়েছে।
ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।
১৯৪৯ থেকে ৬৭ সাল পর্যন্ত পূর্ব জেরুজালেমের দখলে ছিলো জর্ডান।
এর পর থেকেই ইসলাম ও ইহুদি দু ধর্মের কাছেই পবিত্র হারাম আল শরিফ জায়গাটির তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে রয়েছে জর্ডান।
হারাম আল-শরিফে ঢোকার পথে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা ক্যামেরা ও মেটাল-ডিটেক্টর বসানো সহ নিরাপত্তা জোরদার করা ফিলিস্তিনি মুসলিমদের ক্ষুব্ধ করে তোলে।
একে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ-সহিংসতায় এখন পর্যন্ত তিনজন ফিলিস্তিনি ও তিনজন ইসরায়েলি নিহত হয়েছে।
সেনিয় ক্ষুব্ধ জর্ডানও।
সূত্র:বিবিসি