দলটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্পর্কে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এক বক্তব্যের জবাবে সোমবার বিকালে নয়া পল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির পক্ষ থেকে এই চ্যালেঞ্জ জানানো হয়।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের রোববার বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘রাজনীতি করতে সাহস লাগে, মামলা মোকাবেলা করতে হয়। কিন্তু বিএনপি নেতাদের সেই সাহস নেই।’
এ বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, ‘কাদের সাহেব আপনাদের যখন এত সাহস, তাহলে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন।’
তিনি আরও বলেন, ‘মাইনাস টু তত্ত্ব মেনে নিয়ে আপনার নেত্রী (আ’লীগ) বিদেশ পাড়ি জমিয়েছিলেন, এটি কোন ধরণের সাহসের নমুনা?’
রুহুল কবির রিজভী বলেন, পরিবর্তনের ঝোড়ো বাতাস বইতে শুরু করেছে। ক্ষুদ্ধ জনগণের অভিযাত্রায় প্রবল বন্যার স্রোতে ভেসে যাওয়ার ভয়েই নিজেদের হাতে ক্ষমতা রেখে নির্বাচন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে সরকার।
ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারাইতো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন করেছিলেন। নিজেদের স্বার্থে তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতি বাতিল করেছেন। নিজেদের ইচ্ছা মাফিক সংবিধান বদল বা সংশোধন করেন। কিন্তু এখন বিএনপিকে সংবিধানের দোহাই দেন।
তিনি বলেন, সংবিধানে তো সব দলের সভা-সমাবেশ করার অধিকার আছে। কিন্তু সাংবিধানিক সেই বিধান তো আপনারা মানছেন না।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত রোড ম্যাপ প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, নির্বাচনী রোড ম্যাপ দিতে গিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বলেছেন- আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রেখে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। সিইসির বক্তব্য আওয়ামী লীগের দলীয় সিদ্ধান্তেরই প্রকাশ ঘটিয়েছে।
তিনি বলেন, সর্বজনমান্য নির্বাচনের জন্য যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকা দরকার বর্তমানে সে অবস্থা দেশে নেই। অথচ, নির্বাচনি তফসিল ঘোষণার আগে এ ব্যাপারে তিনি কিছুই করতে পারবেন না। তাহলে তিনি নির্বাচনের দেড় বছর আগেই রোড ম্যাপ ঘোষণা করলেন কেন?
সিইসিকে উদ্দেশ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, শুধু দেশের মানুষ নয়, আন্তর্জাতিক নানা মহলও বলছে, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অসম্ভব। কিন্ত আপনি সেটিরই সাফাই গাইছেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে আপনার ভূমিকা ইতিমধ্যেই সর্বমহলে সমালোচিত হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা সরকারি টাকা খরচ করে ভোট চাচ্ছেন। আর বিএনপিকে ঘরোয়া সভা সমাবেশ পর্যন্ত করতে দেয়া হচ্ছে না। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখন আর আইনের বাহিনী নয়, এদেরকে সরকারী দলের নীলনকশা বাস্তবায়নে লাঠিয়াল হিসেবে তৈরি করা হয়েছে।