আকবর হোসেন,তালা: “ স্বাস্থ্য পুষ্টি অর্থ চাই’ দেশী ফলের গাছ লাগাই” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে তালা উপজেলায় ২৫ জুলাই মঙ্গলবার সকালে তালা উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর,তালার আয়োজনে, উপজেলা পরিষদ চত্তরে তিনদিন ব্যাপি ফলজ বৃক্ষমেলার-২০১৭ উদ্বোধন করা হয় । উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্টানে তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: ফরিদ হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) সংসদ সদস্য এ্যাড: মুস্তফা লুৎফুল্লাহ । বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,তালা উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার,উপজেলা ভাইচ চেয়ারম্যান মো: ইখতিয়ার হোসেন,কৃষি অফিসার মো: শামসুল আলম নগরঘাটা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো: কামরুজ্জামান লিপু, মুক্তিযোদ্ধা কলেজের অধ্যক্ষ এনামুল হক,সহকারী কৃষি অফিসার,ছাত্রলীগের সভাপতি সরদার মশিয়ার রহমানসহ,বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তা/কর্মচারী,জনসাধারন ও স্কুল/কলেজের শিক্ষার্থিরা উপস্থিত ছিলেন ।
তালার প্রসাদপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী পালিত
আকবর হোসেন, তালা ঃ তালা উপজেলায় গত ২৩-৭-১৭ রবিবার জাতীয় বৃক্ষরোপন কর্মসূচীর আওতায় তালা প্রসাদপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উদ্দেগে প্রধান শিক্ষক মো: আবুল কাশেম সরদারের এর সার্বিক ব্যবস্থপনায় বৃক্ষ রোপন কর্মসূচীর আয়োজন করা হয় । উক্ত বৃক্ষরোপন কমূসূচীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত তালা উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রোক্টর মো: ঈমান উদ্দীন । বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী শিক্ষা অফিসার দেবাশীষ দাশ ।
তালায় গোপালপুর পরিত্যক্ত বাগান বাড়ি হতে যাচ্ছে ইকোপার্ক
আকবর হোসেন,তালা: চারপাশে বাগান আর বাগন। ঝোপ-ঝাড়ের মধ্যে রয়েছে চারটি পুরাতন ভবন। সামনে রয়েছে আমবাগান। এরমধ্যে একটি দ্বি-তল ভবন একেবারেই নাজুক। অন্য তিনটি ধ্বংস স্তুপ। এসব ভবন ও বাগানটি দীর্ঘদিন ছিলো পরিত্যক্ত অবস্থায়। সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ইসলামকাটি ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে অবস্থিত জায়গাটি এলাকায় বলাই বাবুর আমবাগান নামে পরিচিত। দীর্ঘদিন অযতœ-অবহেলায় পড়ে থাকা বাবু’র বাড়ি ও আমবাগানটি তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফরিদ হোসেনের উদ্যোগে হতে চলেছে ইকো পার্ক ও মিনি ষ্টেডিয়াম। ইতিমধ্যে সেখানে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের তত্ত্বাবধায়নে কাজ শুরু হয়েছে।
ইসলামকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সুভাষ সেন জানান, বলাই ঘোষ ও অবলাকান্ত ঘোষের ছিল এ বাগান-বাড়িটি। ১৯৭১ সাল পর্যন্ত তারা ইসলামকাটি এলাকার রাজা ছিলেন। ১৯৭১ সালে এ দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান তারা। সেই থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল তাদের বাসস্থান ও সামনের আমবাগানটি। প্রায় ৯ একর জমির উপর বসতবাড়ি ও সামনে প্রায় ১০ একর জমিতে রয়েছে বাগান। তারা ভারতে চলে যাওয়ায় ওই জমি সব বাংলাদেশ সরকারের এক নম্বর খাস খতিয়ানে অর্ন্তভূক্ত হয়।
তিনি আরো বলেন, পরিত্যক্ত জায়গাটি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফরিদ হোসেন পরিদর্শন করে ইকো পার্ক ও মিনি ষ্টেডিয়াম বাস্তবায়নের জন্য উৎসাহিত করেন। তাঁর নির্দেশনা ও পরামর্শে কাজ শুরু হলে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা প্রশাসক উক্ত স্থানটি পরিদর্শন করেন। বর্তমানে ইকোপার্ক ও মিনি ষ্টেডিয়ামের কাজ চলমান রয়েছে। সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সরেজমিনে গোপালপুর আমবাগানে গিয়ে দেখা যায়, একটি স্কেবেটর (মাটি কাটা মেশিন) দিয়ে মাটি কেটে সমান করার কাজ চলছে। পানি নিস্কাশনের জন্য সীমানা বরাবর ড্রেন কাটার কাজ চলমান রয়েছে। ঝোপ-ঝাড় পরিস্কার করছে সাত জন শ্রমিক। নাজুক ভবনটির একপাশে সুজিত মজুমদার আরেক পাশে রফিকুল ইসলাম পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছে। এছাড়াও বাগানের পাশ দিয়ে আরও ১২টি পরিবার ঘর নির্মাণ করে বসবাস করছে।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, বাবুরা ভারতে চলে যাওয়ার পর তাদের জমি ও বসত বাড়ি যে যার মতো দখলে নেয়ার চেষ্টা করে। অনেকে ওই জমি ইজারা নিতে আগেই দখলে নিয়েছে। বর্তমানে ইজারা বন্ধ থাকলেও তারা এখনও দখল ছাড়েনি। এরমধ্যে উপজেলা প্রশাসন পার্ক ও মিনি ষ্টেডিয়ামের কাজ শুরু করেছে।
উপজেলার ঘোনা গ্রামের সিরাজুল ইসলাম, পরিবার-পরিজন নিয়ে বর্তমানে গোপালপুর গ্রামে বাবু’র আমবাগানে বসবাস করেন। কিভাবে বসবাস করেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,‘আমরা বাবু’র বাড়িতে কাজ করতাম। তিনি চলে যাওয়ার পর থেকে আমরা এখানে বসবাস করে আসছি। এমন বক্তব্য ওখানে বসবাসকারী আমজেদ, আজিজুলসহ কয়েক জনের। বাবুদের বসত ঘরে বসবাসকারি সুজিত মজুমদার জানান, তিনি ১৯৭৪ সাল থেকে সরকারের কাছে থেকে একসনা ইজারা নিয়ে এখানে বসবাস করে আসছেন। ২০১৬ সাল পর্যন্ত সরকারের কাছে থেকে তার ইজারা নেওয়া আছে।
তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফরিদ হোসেন জানান, উপজেলায় কোন পার্ক কিংবা মানুষের বিনোদনের জন্য জায়গা নেই। বলাই বাবুর আম-বাগানটি যে যার মতো দখলে রেখেছিল। বিভাগীয় কমিশনারের নির্দেশনা ও জেলা প্রশাসকের পরামর্শে আমবাগান ও বসতবাড়িতে ইকোপার্ক এবং মিনি ষ্টেডিয়ামের কাজ শুরু করা হয়েছে।
তালা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ বলেন, বিষয়টি নিয়ে ইউএনও সাহেব একদিন আমাকে বলেছিল। আমি সেখানে গিয়েছিলাম।
খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আব্দুস সামাদ বলেন, প্রতিটি উপজেলায় বিনোদন পার্ক নির্মাণ করার নির্দেশনা আছে। সেই অনুযায়ী আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এখানে অবৈধ দখলদার বা কেউ বাধা দিলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনের সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ বিনোদন পার্ক ও মিনি ষ্টেডিয়াম নির্মাণ করার উদ্যোগ নেয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসনসহ সকলকে ধন্যবাদ জানান। একই সাথে দ্রুত কাজটি বাস্তবায়নের জন্য তিনি সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।