বরিশালের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের সেই বিচারক আলী হোসেনকে প্রত্যাহারের সুপারিশ সুপ্রিম কোর্টে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। মঙ্গলবার তিনি বলেছেন, ‘আমরা বরিশালের সেই বিচারককে প্রত্যহারে করার জন্য সুপারিশ সুপ্রিম কোর্টে পাঠিয়েছি।’
বিচারক প্রত্যাহারের সুপারিশ এরই মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে এসে পৌঁছেছে। সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার (প্রশাসন ও বিচার) মো. সাব্বিজ ফয়েজ জানয়েছেন, ‘বরিশালের বিচারককে বদলির প্রস্তাব করা হয়েছে। তারা সেই চিঠিটি পেয়েছে।’ তিনি বলেন, এ বিষয়টি জেনারেল অ্যাডমিন্সট্রেশনের এর বৈঠকে ওঠানো হবে। সেখানেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এর আগে সোমবার (২৪ জুলাই) বরিশালের জেলা প্রশাসক গাজী মো. সাইফুজ্জামান এবং বরগুনার জেলা প্রশাসক বশিরুল আলমকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের একান্ত সচিব (পিএস) হাবিবুর রহমানকে বরিশাল এবং পাবনা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোখলেসুর রহমানকে বরগুনার জেলা প্রশাসক (ডিসি) হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত,স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রে পঞ্চম শ্রেণির এক শিশুর আঁকা বঙ্গবন্ধুর ছবি ব্যবহার করায় জাতির পিতার ছবি বিকৃতির অভিযোগ এনে বরগুনার ইউএনও গাজী তারিক সালমনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। ৭ জুন তার বিরুদ্ধে বরিশাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে ৫ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়ে মানহানির মামলা করা হয়। মামলাটি করেন বরিশাল আইনজীবী সমিতির সভাপতি সৈয়দ ওবায়েদ উল্লাহ সাজু। ওইদিন মামলা আমলে নিয়ে আদালতের বিচারক ২৭ জুলাইয়ের মধ্যে তাকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে সমন জারির আদেশ দেন।
গত ১৯ জুলাই গাজী তারিক সালমন আদালতে হাজির হলে প্রথমে তার জামিন নামঞ্জুর করে হাজতে পাঠান বিচারক আলী হোসেন। পরে তাকে জামিন দেন আদালত।
এদিকে, শিশুর আঁকা জাতির জনকের ছবি ব্যবহার করে কার্ড ছাপানোর কারণে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাজেহাল হওয়ায় ভীষণ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার নির্দেশে অ্যাডভোকেট ওবায়েদ উল্লাহ সাজুকে আওয়ামী লীগের বরিশাল জেলা শাখার ধর্মষিয়ক সম্পাদকের পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এরপর ২৩ জুলাই তিনি মামলাটি প্রত্যাহার করে নেন।