রাজধানীর মিরপুরের রূপনগর এলাকায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত দুই যুবক এএসপি মিজানুর রহমান তালুকদার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে ধারণা পুলিশের।
বুধবার ভোরে রাজধানীর মিরপুরের রূপনগর এলাকায় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কার্যালয়ের পাশে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ওই দুই যুবক নিহত হন। যাদেরকে ছিনতাইকারী বলে দাবি করছে পুলিশ।
রূপনগর থানার এসআই মোমিনুর রহমানের ভাষ্য, রূপনগর এলাকায় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কার্যালয়ের পাশে ছিনতাইকারী দল জড়ো হচ্ছে এমন গোপন খবর পেয়ে ডিবি পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে অবস্থান নেয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ছিনতাইকারীরা গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে ছিনতাইকারীরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দু’জনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি জানান, ঘটনাস্থল থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে যুগান্তরকে জানান, এএসপি মিজান হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার শাহআলম ওরফে বুড্ডা নিহত ওই দুই যুবককে ছিনতাইকারী দলের সদস্য এবং এএসপি মিজান হত্যার সঙ্গে তারা জড়িত বলে চিহ্নিত করেছে।
গত ২১ জুন সকালে রাজধানীর রূপনগর বেড়িবাঁধ সংলগ্ন বিরুলিয়া ব্রিজের কাছে রাস্তার পাশে গলায় কাপড় পেঁচানো অবস্থায় সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মিজানুর রহমান তালুকদারের মরদেহ পাওয়া যায়। তিনি হাইওয়ে পুলিশের গাজীপুর অঞ্চলের সাভার সার্কেলের দায়িত্বে ছিলেন।
এ ঘটনায় গত ২২ জুলাই রাতে টঙ্গী এলাকা থেকে শাহআলম ওরফে বুড্ডা নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতারের পর পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, এএসপি মিজান হত্যার পেছনে ছিল ছিনতাইয়ের ঘটনা।