বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ঢামেক বার্ন ইউনিটের বিশেষজ্ঞরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তাদের সঙ্গে মুক্তামণির সামগ্রিক চিকিৎসা নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন। এসময় মুক্তামণিকে চিকিৎসকদের কক্ষে এনে তার হাত ও বুকের আক্রান্ত স্থান দেখানো হয়।
ঢামেক বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, ভিডিও কনফারেন্সে তিনি ছাড়াও অধ্যাপক ডা. সাজ্জাদ হোসেন, অধ্যাপক ডা. রায়হানা আউয়াল, ডা. এম এ খান ও ডা. টিটু মিয়া অংশ নেন। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের পক্ষে প্লাস্টিক সার্জন বি কে টান ও অপর এক চিকিৎসক অংশ নেন।
মুক্তামণির অতীত ও বর্তমান চিকিৎসা পদ্ধতি এবং শারীরিক অবস্থা নিয়ে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা-পর্যালোচনা শেষে ডা. বি কে টান এক্স-রেসহ দুটি পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেন। আগামী শনিবার এ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে।
ডা. সেন জানান, দীর্ঘ আলোচনা শেষে সিঙ্গাপুুরের বিশেষজ্ঞরা মুক্তামণির দেহে এখনই কোনো প্রকার অস্ত্রোপচার না করার পরামর্শ দেন। কারণ শিশুটি এখনও শারীরিকভাবে খুবই দুর্বল। তার রক্তে প্লাটিলেটের পরিমাণ কখনও বাড়ছে কখনও কমছে।
কদিন আগে ডা. সামন্ত লাল সেন শেখ হাসিনার সঙ্গে তার কার্যালয়ে দেখা করে মুক্তামণির সর্বশেষ চিকিৎসা ও শারীরিক অবস্থার কথা জানান। এসময় সিঙ্গাপুরের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ ও প্রয়োজনে সেখানে পাঠানোর কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিরল রোগে আক্রান্ত মুক্তার সংবাদটি প্রকাশিত হয়। গত ৯ ‘লুকিয়ে রাখতে হয় মুক্তাকে’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ প্রতিবেদন প্রকাশের পর মুক্তার চিকিৎসা দেয়ার দায়িত্ব নেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তার যাবতীয় চিকিৎসার ব্যয়ভার বহনের দায়িত্ব নেনজুলাই জাগো নিউজ