তোজাম্মেল হোসেন মঞ্জু,ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার চিলাহাটি সরকারী ডিগ্রী কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক ফলাফল এবার মারাত্বক বিপর্যয় হয়েছে। মানবিক, বানিজ্য ও বিজ্ঞান শাখায় মিলে এবার ২০৮ জন ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষার্থী পরিক্ষায় অংশ গ্রহন করেছে। এর মধ্যে ৬৭ জন পাশ করেছে পাশের হার শতকরা ৩২ ভাগ। একই সময়ে গত বছর ৩ বিভাগ মিলে ১৮২ জন পরিক্ষার্থী অংশ গ্রহন করেছে, পাশ করেছে ১১৯ জন পাশের হার শতকরা ৬৬ ভাগ । পরিক্ষার ফলাফল বিপযর্য় সম্পর্কে এক জরিপে জানা গেছে যে, চিলাহাটি সরকারী কলেজ ১৯৮৭ সালে সরকারী করন হওয়ার পর থেকে লেখা পড়ার মান ও ফলাফল নি¤œ থেকে নি¤েœ নেমে এসেছে। প্রতিদিন গড়ে ২ থেকে ৩ ঘন্টা কলেজ সচল থাকে, দুপুর ১ টার পর কলেজে আর কাউকে পাওয়া যায় না। শিক্ষকরা প্রায় সময় অনুপস্থিত থাকেন। বর্তমানে ২৭ টি পদে শিক্ষক আছে ১২ জন অধ্যক্ষ ১ জন। নতুন শিক্ষক যোগদান করে পদগুলি পূরন হওয়ার ২/৩ মাস পর আবার ১০/১২ টি পদ খালি হয়ে যায়। কলেজটিতে ভাইস প্রিন্সিপাল, সহযোগী অধ্যাপক সহকারী অধ্যাপকে পদ না থাকার কারনে অধ্যক্ষ সাহেব সদ্য বিসিএস প্রাপ্ত প্রভাশকদের অধ্যক্ষের দায়িত্ব দিয়ে ছুটিতে চলে যান। অধ্যক্ষ সাহেব মাসে ২৫ দিন ছুটি কাটান ফলে তার অধিনস্ত প্রভাশকরাও যে যার খুশিমত কলেজে যাওয়া আসা করে ও ছুটি নিয়ে চলে যায়, বলতে গেলে চিলাহাটি সরকারী কলেজে প্রশাসন ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিরা কেউ দেখার ও শুনার প্রয়োজন মনে করেনা। গত উচ্চ মাধ্যমিক পরিক্ষার সময় অধ্যক্ষ কামরুল ইসলাম সিনিয়র প্রভাসক কাজী জগনুনকে দায়ীত্ব দিলে তিনি নানা অনিয়মে জরিয়ে পড়েন রাতে অধ্যক্ষের রুমে বসে বন্ধু বান্ধব নিয়ে নেশার আসর বসান সে কলেজের কয়েকটি গাছ কর্তন করে রাতে অন্ধকারে বিক্রি করে। তার বিরুদ্ধে কলেজের অনেক টাকা অতœসাতের অভিযোগ রয়েছে তিনি রাতে অন্ধকারে বদলি নিয়ে চিলাহাটি থেকে পালিয়ে যান। নতুন প্রভাশকদের মাঝে অনেকের চরিত্রের নানা অভিযোগ পাওয়া যায়, অনেকে আবার নেশাও করে। প্রভাশকরা বেআইনি ভাবে হোষ্টলে অবস্থান করতেছে এবং অবৈধ বিদ্যুৎ লাইনে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে যাচ্ছে। সন্ধ্যার পর কলেজ ক্যাম্পাসে গাজার আসর বসে। কলেজটিতে ময়লা অপরিষ্কার শৌচাগার ব্যবহারের অনুপযোগী ফেন্সিডিলের বোতল সহ নেশা জাতীয় নানা দ্রব্যদি পাওয়া যায় বলতে গেলে সম্পূর্ন কলেজটি নোংরায় পরিপূর্ন । চিলাহাটি কলেজের ফলাফল বিপর্যয় ও অনিয়ম সম্পর্কে অধ্যক্ষ আব্দুল খালেক মোল্লা এর নিকট জানতে চাইলে তিনি আক্ষেপ করে জানান যে, আমি এখানে যোগদান করার পর দেখলাম যে পূর্ব বর্তী অধ্যক্ষ যা অনিয়ম করেছেন তা সীমাহীন, ক্লাস ঠিক মত হত না শিক্ষরা ঠিক মত ক্লাসে আসতো না এবং ছাত্র-ছাত্রীর উপস্থিতি ছিল নগন্য, যার ফলে ফলাফল এই বিপর্যয়। তবে আমি চেষ্টা করছি উন্নত করার জন্য তিনি আরো বলেন যে চিলাহাটিতে সরকারী কলেজ আছে তা সরকার জানেনা। ছাত্র-ছাত্রীরা ঠিক মত ক্লাসে আসেনা নতুন প্রভাশকরা যোগদান করেই ছুটি নিয়ে অথবা বদলি নিয়ে চলে যায় আমার করার কিছু থাকে না। ফলে আমি নিজে এই কলেজের প্রিন্সিপাল হয়ে যোগদান করে অসহায় বোদ করছি।
তোজাম্মেল হোসেন মঞ্জু
ডোমার নীলফামারী
২৭/০৭/১৭