সাতক্ষীরায় মহা বিপাকে পড়েছেন ব্যাটারিচালিত মোটরভ্যান চালকরা। শহরের মধ্যে ব্যাটারিচালিত ভ্যান চালানো যাবে না প্রশাসনের এমন কড়া হুঁশিয়ারির পর শুরু হয় আটক অভিযান।
এ পর্যন্ত প্রায় সাতশ মোটরচালিত ভ্যান আটক করেছে ট্রাফিক পুলিশ। ভ্যান আটকের পর মানবেতর জীবনযাপন করছে এসব ভ্যানচালকরা।
ভ্যান ছাড়ানোর জন্য তাদের দেয়া হয়েছে একটা আটক স্লিপ। সেখানে লেখা রয়েছে মোটর খুলে নিয়ে ভ্যানটি ছাড়া হোক। তবে মোটরের সঙ্গে ব্যাটারিও খুলে নিচ্ছে পুলিশ এমন অভিযোগ শত শত ভ্যানচালকের।
বৃহস্পতিবার বেলা ২টার সময় ক্ষুব্ধ ভ্যানচালকরা সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার কার্যালয় ঘেরাও করে। পরে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
ভ্যানচালক সদর উপজেলার ফিংড়ি এলাকার ইমান আলী সরদারের ছেলে ইউনুচ আলী এসব অভিযোগ করে বলেন, ভ্যানটি আটক করায় আমার পরিবার নিয়ে না খেয়ে রয়েছি। ভ্যানটি আমার উপার্জনের একমাত্র ভরসা। গত একমাস খুব কষ্টে সংসার চালাচ্ছি। এখন কাগজে লিখেছে মোটর খুলে ভ্যান ছাড়া হোক তবে সেই সঙ্গে ব্যাটারিও খুলে নিচ্ছে। ধার দেনা করে ভ্যানটি কিনেছি। এখন কি করবো কিছুই বুঝতে পারছি না।
ভ্যানচালক রাজু বলেন, ব্যাটারি খোলার জন্য মোটর খোলার জন্য ২০ টাকা করে নিচ্ছে। এমনিতেই ভ্যানটি আটক করে রাখায় কোনো রোজগার নেই। না খেয়ে রয়েছি। শুধু আমি নই এমন রয়েছে প্রায় ৬০০ জন ভ্যানচালক।
তবে এসব বিষয়ে জেলা ট্রাফিক পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তপন কুমার মজুমদার বলেন, কারও কাছ টাকা নেয়া হচ্ছে না। ৪৫৪টি ভ্যান ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এখনো আটক রয়েছে ২৯০টি। প্রথমদিকে মোটর খুলে ছেড়ে দেয়ার কথা হলেও পরবর্তীতে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মোটরের সঙ্গে ব্যাটারিও খুলে নেয়া হচ্ছে।
এদিকে, ভ্যানচালকরা তাদের ভ্যান ছেড়ে দেয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, আমরা কোনো রাজনীতি বুঝি না। কষ্ট করে ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি। আমরা যদি কোনো ভুল করি তবে তা সমাধানের সুযোগ দেয়া হোক। না হলে শত শত পরিবার এখন না খেয়ে মরার উপক্রম হয়েছে। আমাদের দিকে সুদৃষ্টি দিন