আলমগীর হোসেন লক্ষ্মীপুর থেকে : লক্ষ্মীপুর জেলা রামগতি, কমল নগর উপকূলী অঞ্চল ডুবেগেছে কয়েক হাজার হেক্টর রোপা আমনসহ বিভিন্ন ফসলি জমি, তলিয়ে গেছে মাছের ঘের,প্লাবিত হচ্ছে ৪ টি ইউনিয়নের ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্ধী। বন্যা পরিস্থিতির আশংকা।। ভুলুয়া নদীতে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীদের বাঁধ দিয়ে মাছ ধরার কারনে এমন জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রামগতির মেঘনা সংলগ্ন ভুলুয়া নদীতে বিভিন্ন স্থানে ৯ টি বাঁধ দিয়ে মাছ ধরছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। যার ফলে পানির প্রবাহ বন্ধ হয়ে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। গত ১৫ দিনের টানা বৃষ্টিতে রামগতি ও কমলনগর উপজেলার চরকাদিরা, চরপোড়াগাছা, চরবাদাম ও চরমটুয়া সহ ৪টি ইউনিয়নের প্রায় ৩০ হাজার লোক পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। ডুবেগেছে শতাধিক মাছের ঘের, তলিয়ে গেছে কয়েক হাজার হেক্টর রোপা আমন ও বীজতলা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছোট ছোট সাঁকো ও নৌকা দিয়ে চলাচল করছে এসব অঞ্চলের পানিবন্দী মানুষ। ঘর-বাড়ী ডুবে যাওয়ায় গবাদী পশু ও পরিবার পরিজন নিয়ে বর্তমানে মানবেতর জীবন যাপন করছে তারা। তবে সবচেয়ে ভোগান্তির শিকার স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা। এদিকে জলাবদ্ধতা নিরসনে ভুলুয়া বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্থানীয় ভুক্তভোগীরা।
অসাধু ও প্রভাবশালীদের ভুলুয়া নদীর মাছ ধরার বাঁধ কেটে দিয়ে জলাবদ্ধতা নিরসন করে ৩০ হাজার পানিবন্দী মানুষেকে মানবেতর জীবন-যাপন থেকে রক্ষা করবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের।
রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজগর আলী জানান, ভুলুয়া নদীতে বাঁধ ও জলাবদ্ধতার বিষয়টি আমি শুনতে পেরেছি। অতি শীর্ঘই যৌথ অভিযান চালিয়ে এসব বাঁধ অপসারণ করে জলাবদ্ধতা দুরীকরণের পাশাপাশি জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।