সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা ছাত্রদল সভাপতি শেখ নাজমুল হক ও তার সহযোগী জহুরুল ইসলামকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করেছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০ টায় এ ঘটনার পর আহতরা হাসপাতালে যেতেও ছাত্রলীগ নেতাদের দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হন। পরে তাদেরকে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আহত ছাত্রদল সভাপতি শেখ নাজমুল হক জানান, তিনি ও তার সংগঠনের দফতর সম্পাদক জহুরুল ইসলাম শ্যামনগরের তুরান মার্কেটে বসে চা খাচ্ছিলেন। এ সময় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি একরামুল হক লায়েছ ও সাবেক সভাপতি (বর্তমানে বহিস্কৃত) হাফিজুর রহমানসহ ১৫ থেকে ২০ জন তাদের ওপর লোহার রড ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। তারা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলেও হামলাকারীরা পিছু ধাওয়া করে তাদেরকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করতে থাকে। এক পর্যায়ে হামলাকারীরা চলে গেলে আহত নাজমুল ও জহুরুলকে শ্যামনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাবার চেষ্টা করা হয় । এতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় ছাত্রলীগ নেতারা। পরে তারা গোপনে একটি ক্লিনিকে ভর্তি হয়েছেন। নাজমুল জানান হামলায় আরও যারা অংশ নেয় তাদের মধ্যে রয়েছে সালামিন ও রহমত নামের ছাত্রলীগের দুই সদস্য।
এদিকে, এ হামলা সম্পর্কে জানতে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি একরামুল হক লায়েছের কাছে তার ০১৭২২৯৮৩৬৫৮ নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি বারবার কেটে দেন।
বিষয়টি জানতে চাইলে শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মান্নান আলি জানান, তার কাছে হামলার এমন কোনো অভিযোগ আসেনি। তিনি বলেন লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আহত নাজমুল আরো জানান, রাতে নিরাপত্তাহীনতার কারণে তিনি থানায় যেয়ে পুলিশের সহযোগিতা নিতে পারেন নি। শুক্রবার সকালে তিনি থানায় অভিযোগ পাঠাবেন বলে জানান। ##
Check Also
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করেননি সমাজী
জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার সাবেক ৯ মন্ত্রীসহ ১৩ জনকে আন্তর্জাতিক …