সফর এখনও বাতিল হয়নি। তবে বোর্ডের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের বেতন-ভাতা নিয়ে সমস্যার সুরাহা হয়নি। শেষ পর্যন্ত এর একটা সমাধান না হলে আসন্ন বাংলাদেশ সফরে অস্ট্রেলিয়া দলের না আসার সম্ভাবনাই বেশি।
তবে আশার খবরও আছে। কয়েক দিন আগে বাংলাদেশ সফর করে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধি দল ইতিবাচক প্রতিবেদন দিয়েছে। এবার অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের ম্যানেজার গ্যাভিন ডোভেও জানালেন, বাংলাদেশ সফরের ব্যাপারে ভীষণ আশাবাদী তারা।
হাতে অবশ্য খুব বেশি সময় নেই। আগামী ১৮ আগস্ট বাংলাদেশে পা রাখার কথা অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের। সফরে দুটি টেস্ট খেলবে স্টিভেন স্মিথের দল। সিরিজের প্রথম টেস্ট শুরু হবে ২৭ আগস্ট, মিরপুরের শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে।
দ্বিতীয়টি চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চোধুরী স্টেডিয়ামে, ৪ সেপ্টেম্বর থেকে।
অস্ট্রেলিয়ার দলের ম্যানেজার গ্যাভিন ডোভে আশাবাদী, সফর শুরুর আগেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে, ‘এখনও অনেক কাজ বাকি। তবে আমরা আশাবাদী। আমরা মনে করছি, সফরটি ঠিক সময়েই হবে।’
অস্ট্রেলিয়া সর্বশেষ বাংলাদেশে টেস্ট খেলতে এসেছিল রিকি পন্টিংয়ের নেতৃত্বে, সেই ২০০৬ সালে। এর প্রায় নয় বছর পর ২০১৫ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ সফরে দুটি টেস্ট খেলার কথা ছিল ক্যাঙ্গারুদের। সেই সফরটি তখন হয়নি বাংলাদেশে অকস্মাৎ জঙ্গিবাদের উত্থানে, নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার শঙ্কায়।
পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও বাংলাদেশে আসতে রাজি হয়নি দলটি। এমনকি গত বছর ঢাকায় অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বাকাপেও নিরাপত্তার অজুহাতে দল পাঠায়নি তারা। তবে অজিদের এমন স্পর্শকাতর মনোভাবকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে গত বছর বাংলাদেশ থেকে সিরিজ খেলে যায় ইংল্যান্ড। সেই সিরিজে নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখে ভুল ভেঙেছে তাদের। তবে এবার ঝামেলা বেঁধেছে, তাদের খেলোয়াড়-বোর্ড দ্বন্দ্বে।