ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল ও কসবায় পুলিশের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুইজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার রাতে এ পৃথক দুই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
সরাইল পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রূপক কুমার সাহা জানান, সরাইলে বন্দুকযুদ্ধে রোকন মিয়া (৪৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ইসলামাবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রোকন জেলার সদর উপজেলার সুহিলপুর গ্রামের ইয়াকুব মিয়ার ছেলে। তিনি আন্তঃজেলা সিএনজি অটোরিকশা ছিনতাই চক্রের সদস্য বলে দাবি করেছে পুলিশ।
ওসির ভাষ্য, শুক্রবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ইসলামাবাদ এলাকায় অভিযানে যায় সরাইল থানা পুলিশের একটি দল। এসময় রোকন ও তার সহযোগীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি চালাতে থাকে। এসময় আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে রোকন গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে কসবায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ইউসুফ মিয়া (২৮) নামে অপর এক যুবক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে তিনটার দিকে উপজেলার কুটি ইউনিয়নের মাইজগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ইউসুফ ওই গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে। তিনি চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী বলে দাবি করেছে কসবা থানা পুলিশ।
কসবা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন বন্দুকযুদ্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করে জাগো নিউজকে জানান, শুক্রবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদক ব্যবসায়ী ইউসুফকে আটক করে পুলিশ। পরে তাকে নিয়ে মাদক উদ্ধারে তার আস্তানায় হানা দেয় পুলিশ।
এসময় ইউসুফের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকে। পরে আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই ইউসুফ মারা যান। এসময় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তবে ঘটনার পরপরই ইউসুফের সহযোগীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ায় তাদেরকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
ওসি আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে ১৩৫ কেজি গাঁজা, একটি পাইপ গান এবং দুই রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ইউসুফের বিরুদ্ধে থানায় কয়টি মামলা রয়েছে সেটিও আমরা খতিয়ে দেখছি।