সৌদি আরবে মর্মান্তিক এক সড়ক দুর্ঘটনায় সহোদরসহ ৬ বাংলাদেশি যুবক নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
সৌদি সময় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে দাম্মাম ও আলজুব আরা শহরের মাঝামাঝি স্থানে দুটি প্রাইভেট কারের মুখোমুখি সংঘর্ষে এ ঘটনা ঘটে। এতে ৫ জন সৌদি নাগরিকও নিহত হয়েছেন।
বাংলাদেশে নিহতের স্বজনরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহতের মধ্যে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার ৪ জন ও ফরিদপুর সদর উপজেলার ২ জন রয়েছে।
নিহতরা হচ্ছেন- গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের পূর্ব উজানচর দরাপের ডাঙ্গী এলাকার ওহেদ বেপারীর ছেলে এরশাদ বেপারী (২৮) ও হুমায়ন বেপারী (২৩), দক্ষিণ নাছের মাতব্বর পাড়ার ওসমান খানের ছেলে কোব্বাত খান (২৩) ও দৌলতদিয়া ইউনিয়নের চর দৌলতদিয়া আনছার মাতব্বর পাড়ার ছাহের মন্ডলের ছেলে মিরাজ মন্ডল (২২)। অপর দুইজন হচ্ছেন ফরিদপুর সদর উপজেলার নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের আরান দেওয়ান ডাঙ্গীর আরান দেওয়ানের ছেলে ইদ্রিস দেওয়ান (৩২) ও সদরপুর উপজেলার হাজীগঞ্জ এলাকার শহীদ বলে জানা গেছে।
এরা সকলেই নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতো বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
গোয়ালন্দের স্বজনরা বাংলাদেশ সময় শনিবার দুর্ঘটনার খবর জানতে পারেন। এরপর থেকেই চলছে নিহতদের পরিবারগুলোতে শোকের মাতম।
শনিবার সরেজমিন পূর্ব উজানচরের নিহত দুই ভাই এরশাদ ও হুমায়নদের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে এক হৃদয় বিদারক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। পরিবারের লোকজন ও আত্মীয় স্বজনদের আহাজারীতে পুরো পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে।
উজানচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন ফকির জানান, এ দুর্ঘটনার খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তারা নিহতের পরিবারগুলোর পাশে গিয়ে শোকাহত স্বজনদের সমবেদনা জানিয়েছেন। এ ছাড়া তাদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মণ্ডল জানান, তার এলাকার নিহত যুবকের লাশ দেশে আনার ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করতে তিনি স্বজনদের সহযোগিতা করছেন।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান হাবীব জানান, তিনি নিহতদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেছেন। লাশগুলো দ্রুত দেশে আনার ব্যাপারে সরকারিভাবে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হবে।