বগুড়ায় শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও মাসহ তার মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলার অন্যতম দুই আসামি কাউন্সিলর মারজিয়া হাসান রুমকি ও তার মা রুমা খাতুনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বগুড়া গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল রবিবার (৩০ জুলাই) সন্ধ্যায় পাবনা শহর থেকে তাদের গ্রেফতার করেছে বলে জানিয়েছেন বগুড়া পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) সনাতন চক্রবর্তী।
রজিয়া হাসান রুমকি বগুড়া পৌরসভার ২নং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর। ওই ঘটনার মূল হোতা ও মামলার প্রধান আসামি বগুড়া শহর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক তুফান সরকারের স্ত্রী আশা খাতুনের বড় বোন। তুফানের শাশুড়ি হন রুমা খাতুন।
বগুড়া পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) সনাতন চক্রবর্তী বলেন, ‘ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আমিরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি চৌকষ দল রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পাবনা শহর থেকে রুমকি ও তার মা রুমা খাতুনকে (তুফানের শ্বাশুড়ি) গ্রেফতার করে। রাত সাড়ে ৮টায় এ খবর পাঠানোর সময় পুলিশ সদস্যরা তাদের নিয়ে বগুড়ার দিকে রওনা হয়েছেন।’
এসপি সনাতন চক্রবর্তী জানান, ‘আশা খাতুনসহ বাকি আসামিদের গ্রেফতার করতে কয়েকটি টিম মাঠে রয়েছে। তারা শিগগিরই ধরা পড়বে বলে আমরা আশাবাদী।’
এ নিয়ে ওই মামলার ১০ আসামির মধ্যে ছয় জনকে গ্রেফতার করলো পুলিশ। বাকি চার জনকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, ১৭ জুলাই কলেজে ভর্তির বিষয়ে সাহায্যের নাম করে শহর শ্রমিকলীগের আহ্বায়ক তুফান ভিকটিমকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ওঠে। পরে সে স্থানীয় এক ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সহযোগিতায় ভিকটিমটিকেই এ ঘটনার জন্য দায়ী করে এবং বিচারের নামে ভিকটিম ও তার মায়ের মাথা ন্যাড়া করে দেয়। এরপর অভিযুক্ত আসামি ভিকটিম ও তার মাকে এলাকা ছাড়া করার জন্য এসিড মারার হুমকিও দেয়। শুক্রবার (২৮ জুলাই) দুপুরে ভিকটিম ও তার মায়ের চুল কেটে দিলে তারা থানায় মামলা করেন। এরপর শুক্রবার রাতেই চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।