ঢাকা: “রিমান্ডে নিয়া মানুষকে যেইভাবে মারে, সেইভাবে একটা ঘরে আটকাইয়া রাইখা ওরা মারছে আমার মেয়েরে এবং আমারে।”
“ক্ষমতার জোরে ওরা আমাদের ওইভাবে মারছে।”
“অনেক মারছে তারপর চুল কাইটা দিছে।”
এভাবেই বিবিসি বাংলার কাছে নির্যাতনের বর্ণনা দিচ্ছিলেন বগুড়ায় শ্রমিক লীগের আহ্বায়কের হাতে ধর্ষণের শিকার হওয়া মেয়েটির মা।
পুলিশ জানিয়েছে, এ মাসের ১৭ তারিখে দলীয় ক্যাডার দিয়ে একজন কিশোরীকে তুলে নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বগুড়া শহর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক তুফান সরকার।
পরে, গত শুক্রবার তুফানের স্ত্রী এবং স্ত্রীর বোন যিনি বগুড়া পৌরসভার সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর ধর্ষণের শিকার মেয়েটি এবং তার মাকে আবারো ক্যাডার পাঠিয়ে বাড়ি থেকে জোর করে তুলে আনে।
বাসায় নিয়ে রড ও লাঠি দিয়ে ব্যাপক মারধরের পর দুইজনেরই মাথা কামিয়ে দেয় তারা।
আহত মেয়েটি এবং তার মাকে এরপর বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মেয়েটির মা বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, আসামিদের কয়েকজন গ্রেপ্তার হওয়ায় এখন তিনি বিচার পাবার আশা করছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, এ মাসের ১৭ তারিখে তুফান ঐ মেয়েটিকে কলেজ ভর্তিতে সাহায্য করার প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ি থেকে ডেকে পাঠায়।
কিন্তু মেয়েটি তাতে সাড়া না দিলে, দলীয় কয়েকজন ক্যাডার পাঠিয়ে মেয়েটিকে বাড়ি থেকে তুলে আনে তুফান।
এরপর মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়। পরে অসুস্থ অবস্থায় মেয়েটিকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতে মেয়েটির মা তুফান সরকার এবং তাঁর স্ত্রীসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগে দুটি মামলা করেছেন।
এরপর পুলিশ তুফান সরকার এবং তার তিন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে।
এদের একজন শনিবার ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দিয়েছে।
তবে তুফানের স্ত্রী এবং স্ত্রীর বোন পলাতক রয়েছে।
তুফান সরকারসহ বাকি তিনজনকে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।
সূত্র: বিবিসি
Check Also
ট্রাইব্যুনালে আ.লীগ নেতাদের বিচার দেখতে এসে যা বললেন সাঈদী পুত্র
জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া সাবেক ৯ মন্ত্রীসহ ১৩ জনকে …