মস্কোর ওপরে দেয়া সাম্প্রতিক মার্কিন নিষেধাজ্ঞার জবাবে রাশিয়া থেকে ৭৫৫ জন মার্কিন কূটনীতিককে বহিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। খবর বিবিসির।
আগামী ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই মার্কিন কূটনীতিকদের রাশিয়া ছেড়ে যেতে হবে।
দেখতে-দেখতেই আরো জটিল রূপ নিয়েছে রুশ-মার্কিন সম্পর্ক।
এই বিরাট সংখ্যক কূটনীতিককে প্রত্যাহারের পর রাশিয়াতে থাকবে মাত্র ৪৫৫জন মার্কিন স্টাফ; নানান নিষেধাজ্ঞার পর ঠিক এই সংখ্যক রুশ স্টাফই এখন রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে।
কূটনীতিক প্রত্যাহারের এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স।
“রাশিয়ার অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী কর্মকাণ্ড, দুর্বৃত্ত শাসকদের জন্য সমর্থন, ইউক্রেনে রুশ কর্মকাণ্ড এগুলো যে গ্রহণযোগ্য নয় এই বিষয়টি আমাদের প্রেসিডেন্ট খুব স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন। প্রেসিডেন্ট এটিও স্পষ্ট করেছেন যে, তিনি খুব দ্রুতই অবরোধ আরোপের বিলে স্বাক্ষর করবেন। পাশাপাশি আমরা এটাও স্পষ্ট করতে চাই যে, রাশিয়া তার আচরণ পাল্টাবে— এটা আমরা আশা করি” বলেন পেন্স।
আধুনিক কূটনীতির ইতিহাসে এতো বিরাট সংখ্যক মানুষকে একসঙ্গে বহিষ্কারের ঘটনা আর ঘটেনি।
৭৫৫ জনকে একসঙ্গে বহিষ্কারাদেশ দেয়ায় মস্কোর দূতাবাসে থাকা কর্মীসহ একেতারিনবার্গ, ভ্লাডিভোস্টক ও সেন্ট পিটার্সবার্গ কনস্যুলেটরের কর্মীরা সমস্যায় পড়তে পারেন।
এই বহিষ্কারাদেশ দেয়ার পর ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, আরো গুরুতর কোনো কিছু তিনি চাপিয়ে দিতে চাননি।
আর টানাপোড়েনে ভরা রুশ-মার্কিন সম্পর্ককে ইঙ্গিত করে তিনি জানান, এই সম্পর্ক ‘সহসাই পরিবর্তনের’ কোনো আভাস তিনি দেখছেন না।
রাশিয়ার ওপরে সর্বশেষ যে মার্কিন অবরোধ দেয়া হয়েছে সেটিতে মার্কিন সংসদের দুই কক্ষই অনুমোদন দিয়েছে। তবে, এই অবরোধে আপত্তি জানিয়েছিল হোয়াইট হাউস।