মাঠ পর্যায়ে প্রশাসন ক্যাডারের সিনিয়র সহকারী সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তারা ইউএনও’র দায়িত্ব পালন করে থাকেন।
উল্লেখ্য, বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি বিকৃত করার অভিযোগে গত ৭ জুন ইউএনও তারিক সালমনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক (বর্তমানে বহিষ্কৃত) ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ওবায়েদুল্লাহ সাজু। ১৯ জুলাই আদালতে হাজির হন তারিক সালমন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বরিশালের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক মো. আলী হোসাইন। একই বিচারক দুই ঘণ্টা পর ইউএনও তারিকের জামিন মঞ্জুর করেন।
আদালত প্রাঙ্গণে ইউএনও তারিককে পুলিশে ধরে নেয়ার ছবি প্রকাশ হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়।
তারিক সালমনকে গ্রেফতারের ওই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বিস্মিত হয়েছেন জানিয়ে তার উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বলেছিলেন, ওই ছবিতে বিকৃত করার মতো কিছু তারা দেখেননি বরং এটি একটি ‘সুন্দর কাজ’, রীতিমত ‘পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য’।
এরপর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মামলাকারী ওবায়েদুল্লাহ সাজুকে সাময়িক বহিষ্কার করে কারণ দর্শাও নোটিশ পাঠানোর কথা বলা হয়।
ইতোমধ্যে এ ঘটনায় পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে মাঠ প্রশাসনের দেখভাল করা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এছাড়া ইউএনও’কে হয়রানির ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার জন্য গত ২৪ জুলাই বরিশালের জেলা প্রশাসক (ডিসি) গাজী মো. সাইফুজ্জামান ও বরগুনার ডিসি বশিরুল আলমকে ওএসডি করা হয়েছে।