বিরল চর্মরোগে আক্রান্ত শিশু মুক্তার বায়োপসি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড সদস্যরা। শনিবার (৫ আগস্ট) তার আক্রান্ত স্থানে বায়োপসি করা হবে।
মেডিকেল বোর্ড সদস্যরা সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে এক্সরেসহ দুটি ল্যাবরেটরি পরীক্ষা, বার্ন বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে করা বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট ও চিকিৎসা কার্যক্রম বুধবার পর্যালোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এছাড়া মুক্তার ফলোআপ চিকিৎসা সম্পর্কে গণমাধ্যমকে বিস্তারিত জানাতে বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট।
মুক্তার ফলোআপ চিকিৎসা কী ধরনের হতে পারে এ সম্পর্কে জানতে চাইলে বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্তলাল সেন বলেন, আগামীকালের (বৃহস্পতিবার) সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে মেডিকেল বোর্ডের এক সদস্য জানান, মুক্তার শারীরিক অবস্থা এখনও দুর্বল। গত কয়েকদিনের প্রচেষ্টায় রক্তে প্লাটিলেটের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ হবে জেনেও বোর্ড সদস্যরা আগামী শনিবার তার আক্রান্ত স্থানের বায়োপসি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ডা. সেন মঙ্গলবার এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে জানান, সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী ইতোমধ্যে এক্সরেসহ দুটি ল্যাবরেটরি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে মুক্তার। ল্যাবরেটরি পরীক্ষার ফলাফলও হাতে এসেছে। এ পর্যন্ত দেয়া চিকিৎসা সম্পর্কে পর্যালোচনা শেষে মেডিকেল বোর্ডের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা সম্মিলিতভাবে পরবর্তী ফলোআপ চিকিৎসা নির্ধারণ করবেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিরল চর্মরোগে আক্রান্ত সাতক্ষীরার শিশু মুক্তাকে নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। গত ৯ জুলাই জাগো নিউজে ‘লুকিয়ে রাখতে হয় মুক্তাকে’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ প্রতিবেদন প্রকাশের পর মুক্তার চিকিৎসা দেয়ার দায়িত্ব নেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তার যাবতীয় চিকিৎসার ব্যয়ভার বহনের দায়িত্ব নেন।
এম