সাতক্ষীরার শিশু মুক্তামনির বিরল চর্মরোগ আরোগ্যযোগ্য ও অস্ত্রোপচারের যোগ্য নয় বলে জানিয়েছেন সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলন জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন একথা জানান।
সম্প্রতি মুক্তামনিকে ভিডিওতে দেখে এবং তার টেস্টের রিপোর্ট দেখে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকরা এক ই-মেইলে এই কথা জানান।
শিশু মুক্তামনির বাবা সাতক্ষীরার সদর উপজেলার কামারবায়সা গ্রামের মুদি দোকানি ইব্রাহীম হোসেন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, জন্মের দেড় বছর পর ১২ বছরের শিশু মুক্তামনির দেহে একটি ছোট মার্বেলের মতো গোটা দেখা দেয়। এরপর থেকে সেটি বাড়তে থাকে। দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়েও তার কোনো চিকিৎসা হয়নি। তার আক্রান্ত ডানহাত এখন ছোট আকারের গাছের গুড়ির রুপ নিয়ে প্রচণ্ড ভারী হয়ে উঠেছে। এতে পঁচনও ধরেছে। পোকাও জন্মেছে। দিন রাত চুলকানি ও যন্ত্রণায় অস্থির হয়ে থাকে মুক্তামনি। আক্রান্ত স্থান থেকে বিকট গন্ধ ছুটছে।
সম্প্রতি মুক্তামনির এই বিরল রোগ নিয়ে দৈনিকে দেশের কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপরই তাকে ঢাকায় পাঠিয়ে সরকারি ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসার উদ্যোগ নেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। পরে প্রধানমন্ত্রী মুক্তার যাবতীয় চিকিৎসার ব্যয়ভার বহনের দায়িত্ব নেন।
মুক্তামনির চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৮ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। এ পর্যন্ত রক্তশূন্যতায় ভোগা মুক্তামনির শরীরে ৩ ব্যাগ রক্ত দেয়া হয়েছে।