বগুড়ার শহর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক তুফানের হাতে নির্যাতনের শিকার ছাত্রীকে পরীক্ষা করে ধর্ষণের আলামত মিলেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ থেকে এই ডাক্তারি পরীক্ষার প্রতিবেদন ইতিমধ্যেই মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা হাতে পৌঁছেছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আবুল কালাম আজাদ শুক্রবার যুগান্তরকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘চিকিৎসকদের দেয়া প্রতিবেদনে মেয়েটিকে ধর্ষণের আলামত মিলেছে। প্রতিবেদনে মেয়েটি প্রাপ্তবয়স্ক নয় বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।’
তিনি আরও জানান, মামলার প্রধান আসামি বহিষ্কৃত শ্রমিক লীগ নেতা তুফান সরকার, তার স্ত্রীর বড় বোন মারজিয়া হাসান রুমকি এবং তুফানের সহযোগী মুন্নার দ্বিতীয় দফা রিমান্ড শেষ হয়েছে। তাদের শুক্রবার আদালতে হাজির করা হবে। তুফানের স্ত্রী আশা ও শাশুড়ি রুমাকে বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে তৃতীয় দফা ৫ দিনের রিমান্ড চাইলে ম্যাজিস্ট্রেট শ্যাম সুন্দর রায় আবেদন না মঞ্জুর করেন। তিনি ৭ দিনের মধ্যে তাদের জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদ করতে বলেছেন। তুফানের সহযোগী আতিক ও নাপিত জীবন রবিদাস ইতোমধ্যে ওই আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। নির্যাতিত ছাত্রী আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
তুফান সরকার গত ১৭ জুলাই তার বাহিনীর সদস্যদের দিয়ে ওই ছাত্রীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ধর্ষণ করে। তুফানকে বাঁচাতে তার স্ত্রী আশা, তার বোন কাউন্সিলর রুমকি ও মা রুমা গত ২৮ জুলাই ছাত্রী ও তার মাকে রুমকির বাড়িতে ধরে নিয়ে যায়। সেখানে মা ও মেয়ের ওপর চালানো হয় বর্বর নির্যাতন। এরপর কাঁচি দিয়ে দু’জনের চুল কেটে দেয়া হয়েছিল। পরে নাপিত ডেকে তাদের মাথা ন্যাড়া করে দেয়া হয়।
এ ঘটনায় ছাত্রীর মা ২৯ জুলাই সদর থানায় তুফান, রুমকি, আশা, রুমা, ১০ জনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেন। পুলিশ ইতিমধ্যে এজাহার নামীও ৯ জনসহ ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে। এক আসামি এখনও পলাতক রয়েছে।