শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়েছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের তোপের মুখে রেজিস্ট্রার মো. শাহুল আফজালকে দীর্ঘ মেয়াদে ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়া শিক্ষককে লাঞ্ছিতকারী দুই কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক পদত্যাগ করানো হচ্ছে।
আজ (শনিবার) ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নেয়া সিদ্ধান্তে এসব বিষয় জানানো হয়েছে।
বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. শাহুল আফজালকে চুক্তিভিত্তিক দীর্ঘমেয়াদে ছুটিতে রাখা হবে। আগামীকাল (৬ আগস্ট) থেকে তার ছুটি কার্যকর হবে। তবে তার ছুটির মেয়াদকাল উল্লেখ করা হয়নি।
অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক ফারহান উদ্দিন আহমেদকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে সহকারী রেজিস্ট্রার মো. মাহিউদ্দিন ও সিনিয়র অফিসার জাভেদ রাসেল পদত্যাগ করেছেন। ইতোমধ্যে তাদের পদত্যাগপত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
এছাড়া আইন বিভাগের লাঞ্ছিত শিক্ষক ফারহান উদ্দিন আহমেদের অব্যাহতি প্রত্যাহার করে তাকে পুনরায় নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আরও বলা হয়েছে, নিরাপত্তাকর্মীদের হাতে ছাত্রী লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগটি আমলে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তদন্ত করছে। এ সংক্রান্ত একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। একই সঙ্গে শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে গঠিত অনুসন্ধান কমিটি তাদের কাজ অব্যাহত রেখেছে।
কর্তৃপক্ষ দাবি করে, এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আশা করছে, শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ বজায় রাখা এবং ছাত্রছাত্রীদের একাডেমিক কার্যক্রম বিঘ্নিত না হওয়ার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে আন্দোলনের মুখপাত্র নোমান জাগো নিউজকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন সিদ্ধান্তে আমরা অনেক আনন্দিত। আমাদের প্রাথমিক দাবি মেনে নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি কী হবে সে কারণে আমরা (শিক্ষার্থীরা) বৈঠকে বসেছি। সভা শেষে সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে তিনি জানান।