নিম্ন আদালতের রায়ে সন্তোষ হওয়া বিশ্বজিৎ দাসের পরিবার উচ্চ আদালতের রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, উচ্চ আদালতের রায়ে তারা বিচার পাননি।
রোববার বিকালে হাইকোর্টে রায় ঘোষণার পর বিশ্বজিতের বাবা অনন্ত চন্দ্র দাস এ অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, নিম্ন আদালতে ৮ জনের ফাঁসিতে আমরা সন্তোষ ছিলাম। কিন্তু উচ্চ আদালতে আটজনের ফাঁসি থেকে দুইজনের ফাঁসি বহাল রাখায় আমরা আশাহত হয়েছি। উচ্চ আদালতের এ রায়ে আমরা বিচার পাইনি।
বিশ্বজিতের বাবা আরও বলেন, প্রকাশ্যে দিবালোকে আমার ছেলেকে হত্যা করা হল। এটাই সবচেয়ে বড় প্রমাণ। আমরা উচ্চ আদালতের এই রায়ে আশাহত। বিচার পাওয়া নিয়েও শঙ্কায় আছি।
তিনি বলেন, আমরা সরকারের কাছে দাবি করছি- নিম্ন আদালতের রায় যেন বহাল রেখে খুনিদের শাস্তি কার্যকর করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কের কাছে বিশ্বজিৎ দাসকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় ২০১৩ সালের ৫ মার্চ ২১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে ডিবি পুলিশ।
একই বছরের ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক এবিএম নিজামুল হক আটজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন।
এদের মধ্যে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত দুইজনসহ মোট ১৩ জন পলাতক রয়েছেন।
চলতি বছরের ১৬ মে বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ডাদেশ নিশ্চিতকরণ) ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আপিল শুনানি শুরু হয়।
রোববার বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় দুই জনের ফাঁসি, ১৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও চারজনকে খালাস দেন