বগুড়ায় ছাত্রী ধর্ষণ ও নির্যাতনের দুটি মামলার আসামি তুফান সরকার ও নারী কাউন্সিলর মার্জিয়া আকতার রুমকির রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে দিয়েছেন আদালত।
রোববার তাদের আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ।
তবে বগুড়ার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম শ্যামসুন্দর রায় এ আবেদন নামঞ্জুর করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) সনাতন চক্রবর্তী।
তিনি যুগান্তরকে বলেন, আসামিদের আদালতে উপস্থিত করে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। তবে আদালত রিমান্ড ও আসামি পক্ষের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারের প্রেরণের নির্দেশ দেন।
শেষ দফায় গত শুক্রবার বগুড়ার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মোহা. আহসান হাবিবের আদালত তুফান ও রুমকির দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আবুল কালাম আজাদ গণমাধ্যমকে জানান, এর আগে তুফান সরকারকে তিন দফায় সাত দিন এবং মার্জিয়াকে দুই দফায় ছয় দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
তবে তুফান নির্যাতিত ছাত্রীকে ধর্ষণ এবং নারী কাউন্সিলর মার্জিয়া নির্যাতন ও চুল কেটে দেয়ার কথা স্বীকার করেননি।
এদিকে আদালতে তুফান সরকারের সহযোগী মুন্না ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এছাড়া আদালতে দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন তুফানের আরেক সহযোগী আতিক এবং নাপিত জীবন রবিদাস।