জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় স্থায়ী জামিন পেলেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এ বিষয়ে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে বুধবার (৯ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রায় দেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী এবং তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ভূইয়া। এ ছাড়া দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
খুরশীদ আলম খান জানান, এ মামলায় ২০০৮ সালে খালেদা জিয়াকে জামিন দিয়ে রুল জারি করেন। কিন্তু দুদককে তখন পক্ষভুক্ত করা হয়নি। সম্প্রতি পক্ষভুক্ত হতে দুদক আবেদন করার পর হাইকোর্ট তা মঞ্জুর করেন।
তিনি আরও বলেন, রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে রুল মঞ্জুর করেন আদালত। অর্থাৎ এ মামলায় খালেদা জিয়া স্থায়ী জামিন পেয়েছেন। তবে জামিনের অপব্যবহার করলে বিচারিক আদালত তার জামিন বাতিল করতে পারবেন।
জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়া আগেই জামিনে রয়েছেন। আজ (বুধবার) এ রায়ের ফলে তিনি (খালেদা জিয়া) দুই মামলাতেই স্থায়ী জামিন পেলেন।
২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়।
মামলায় খালেদা জিয়াসহ মোট ৬ জন আসামি করা হয়েছে। অন্য পাঁচজন হলেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।
মামলায় এখন পর্যন্ত সাক্ষ্য দিয়েছেন ৩২ জন। এ ছাড়া জামিনে থাকা দুই আসামি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও শরফুদ্দিন আহমেদ আত্মপক্ষ সমর্থন করে আদালতে লিখিত বক্তব্য জমা দিয়েছেন। ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক রয়েছেন।