বেনাপোল বন্দরে মিথ্যা ঘোষনা দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করা ২ কোটি টাকা মূল্যের ক্যাপিটাল মেশিনারিজ’র একটি  চালান আটক করেছে শুল্ক গোয়েন্দা —

বেনাপোল প্রতিনিধি
বেনাপোল বন্দরে মিথ্যা ঘোষনা দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করা ২ কোটি টাকা মূল্যের ক্যাপিটাল মেশিনারিজ’র একটি  চালান আটক করেছে শুল্ক গোয়েন্দা। গতকাল সন্ধ্যায় বন্দরের ওপেন ইয়ার্ড থেকে খালাশের সময় গোপন সুত্রে খবর পেয়ে পন্য চারানটি আটক করা হয়।
বেনাপোল শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের পরিচালক (ডিসি) সাদেক হোসেন জানান,  মিথ্যা ঘোষণায বেনাপোল বন্দর দিযে আমদানি করা ক্যাপিটাল মেশিনারিজের একটি চালান খালাস নেযা হবে। চালানটির পণ্য মিথ্যা ঘোষণায ওজন ও এইচ এস কোডের ব্যাপক গরমিল রযেেেছ। সে অনুযাযী, শুল্ক গোযন্দো বন্দরে নজরদারি বৃদ্ধি করে। এক পর্যাযে, বন্দরের ওপেন ইয়ার্ডে থাকা ইন্ডাস্ট্রিযাল ইলেকট্রিক ফার্নেস ঘোষণায় আনা ক্যাপিটাল মেশিনারিজের  পণ্য চালানটি খালাশ পর্যায়ে আটক ক রে পুন: পরীক্ষা করে ব্যাপক গড়মিল পাওয়া যায়। পণ্যচালানটির মেনিফেস্ট নং- ৩৩৬৭৭/১১, তারিখ ১৩-০৭-২০১৭, বিল অব এন্ট্রি নং ৪১১৭৬, তারিখ ১৭-০৭-২০১৭। পন্য চালানটির ঢাকার আমদানিকারক মোহাম্মদী স্টিল ওযার্কস, নারাযণগঞ্জ এবং এর সিএন্ডএফ এজেন্ট গণি এন্ড সন্স, বেনাপোল।
কাস্টম হাউস বেনাপোল কর্তৃক আমদানিকারকের ঘোষণা অনুযাযী পরীক্ষণ ও শুল্কাযন কার্যক্রম সম্পন্ন করে খালাসের আদেশ দেযা হয কিন্তু শুল্ক গোযন্দোর হ¯তক্ষেপে চালানটির খালাস কার্যক্রম স্থগিত করা হয। পরে শুল্ক গোযন্দো ও কাস্টম হাউসের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে পুনরায চালানটির কাযকি পরীক্ষা কওে আমদানিকারকের ঘোষণা অনুযাযী ২০০ কেজি ট্রান্সফরমার অযেল এর স্থলে ৮৩৬ কেজি (৬৩৬ কেজি বেশি) এবং ৫০ কেজি লুব্রিকেন্ট  এর স্থলে ২৫ হাজার ২০ কেজি গ্রিজ পাওযা যায। আটককৃত পণ্যের মূল্য প্রায ২ কোটি টাকা এবং শুল্ক ফাঁকির পরিমান ৭০ লাখ  টাকা। পন্য চালানটি মাত্র ১২ লক্ষ টাকা শুল্ক পরিশোধ করে বন্দর থেকে গোপনে খালাশ নিয়ে যাচ্ছিল।  কিন্তু শুল্ক গোযন্দোর হ¯তক্ষেপের কারণে বড় ধরনের রাজস্ব ফাকির ঘটনা ধরা পড়েছে। কিভাবে বন্দর থেকে খালাশ নেয়া হচ্ছিল  ও কোন কোন কাস্টমস’র  আরও এবং এআরও পরীক্ষন কর্মকর্তারা পান্যচালনাটি পরীক্ষা করে মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল করে শুল্ক ফাকিতে সহায়তা প্রদান করেছিল তা তদন্ত করতে শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা তদন্ত শুরু করেছে।
বেনাপোল কাস্টমস এর কমিশনার শওকাত হোসেন জানান, পন্যচালানটি শুল্ক ফাকি দিয়ে খালাশকাজে যে সব শুল্ক কর্মকর্তারা সহায়তা করেছিল তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইতিমধ্যে সংশ্লিস্ট সিএন্ডএফ  এজেন্ট গনি এন্ড সন্স এর লাইসেন্স বাতিল করার নির্দেশনা দেয়া হযেছে।  সিএন্ডএফ এজন্ট’ গনি এন্ড সন্স’র  বিরুদ্ধে রাজস্ব ফাকির অভিযোগে একাধিকবার লাইসেন্স সমায়িক বাতিল করা হয়েছিল, এই বার য়ে গুরুতর অপরাধ করেছে তা স্থায়ীভাবে লাইসেন্স বাতিল করার জন্য বলা হযেছে বলে কমিশনার জানান।
শুল্ক গোয়েন্দা অধি দফতর দি কাস্টমস এ্যাক্ট ১৯৬৯ অনুযাযী একটি মামলা দাযের করেছে।

 

Check Also

কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে বিভাগ করার সুপারিশ দেবে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন

কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে বিভাগ করার সুপারিশ করতে যাচ্ছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সচিবালয় …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।