রাবি: রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রশিবিরের ১২ নেতাকর্মীকে বেধরক পিটিয়ে পুলিশে দিয়েছে বিশ^বিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
বুধবার দিবাগত রাতে শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী হলে এ ঘটনা ঘটে। এসময় তাদেরকে রড ও লাঠি দিয়ে মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করা হয়। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে তাদেরকে আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে (রামেকে) ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
জানা যায়, হলে শিবির আছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে রাত ১২ টার দিকে সন্দেহভাজন হিসেবে ১৪৮ ও ১৪৩ নম্বর রুমে ছাত্রলীগ তল্লাশী চালালে বিশ^বিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সাহিত্য সম্পাদক নাজমুল ইসলাম (আরবি মার্স্টাস) ও শিবিরের সাথী শাহরুল আলম হিমেলকে (পরিসংখ্যান ৪র্থ বর্ষ) আটক করে। এসময় ঘটনাস্থলে বিশ^বিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ও সাধারন সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু উপস্থিত হয়। পরে আটককৃত দুই শিক্ষর্থীর তথ্যের ভিত্তিতে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সভাপতি সাহেদ রানা (ইঞ্জিনিয়ারিং তৃতীয় বর্ষ), শহীদ শামসুজ্জোহা হলের শিবিরের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন (ইসলামের ইতিহাস তৃতীয় বর্ষ) আশিকুল হাসান নাফিস (নৃবিজ্ঞান ৪র্থ বর্ষ), আরিফুল ইসলাম (ফার্সী মাস্টার্স), রাকিব আহমেদ (আইন ২য় বর্ষ), মাহমুদুল হাসান (উদ্ভিদ বিজ্ঞান ৪র্থ বর্ষ), শরিফুল ইসলাম (পরিসংখ্যন ৪র্থ বর্ষ), আব্দুর রাকিব (ইসলামিক ইস্টাডিজ (তৃতীয় বর্ষ), ওয়ালিউল ইসলামকে (আরবি মাস্টার্স) আটক করে।
এদের মোট ১১ জনকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বেধড়ক মারধর করার পরে রাত ৪ টার দিকে একই হলের ২৭৬ নম্বর রুম থেকে এক গেস্টকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করে। এসময় মতিহার থানার পুলিশ উপস্থিত হলে তাদেরকে আটক করে মেডিকেলে ভর্তি করা হয় বলে জানা গেছে।
রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, গোয়েন্দা ও প্রশাসনের কাছ থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ১১ জন শিবির কর্মী ও আরেক জনকে সন্দেহজনকভাবে আটক করে পুলিশে দিয়েছি। সিলেটে ছাত্রলীগের দুই নেতার ওপর হামলার সমুচিত জবাব দেয়ার জন্য এ অভিযান চালানো হয়েছে।
নগরীর মতিহার থানার ওসি (তদন্ত) মাহবুব হোসেন বলেন, হল প্রশাসনের অনুমতি না থাকায় আমরা ভেতরে প্রবেশ করতে পারিনি। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ১২ জনকে চিহ্নিত করে আমাদের কাছে দিয়েছে। তাদের অধিকাংশ শিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
