রোববার ই-মেইল, ডাক ও কুরিয়ারযোগে গানটির প্রকাশক ‘বঙ্গ’সহ গানটির মডেল কুসুম সিকদার ও খালেদ হোসাইন সুজনকে আইনি নোটিশটি পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আফতাব উদ্দিন ছিদ্দিকী রাগিব।
একইসঙ্গে বিটিআরসি চেয়ারম্যান, তথ্য ও যোগাযোগ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব, সংস্কৃত মন্ত্রণালয় সচিব, তথ্যসচিবকেও নোটিশ পাঠানো হয়।
নোটিশে বলা হয়, নেশা ভিডিওটি শুরুই হয় চোখে আমার তোমার নেশা, শ্বাসে আমার তোমার নেশা, সারা দেহে তোমার নেশা, রগে রগে তোমার নেশা, তোমায় পান করে….জ্ঞান হারাই, হই মাতাল’ এমন ‘উত্তেজক’ কথার আবৃত্তি দিয়ে।
তারপর একের পর এক আপত্তিকর, যৌন উত্তেজক ও অশ্লীল দৃশ্য। নোটিশে আরও বলা হয়, ভিডিওটিতে ৫টি শাওয়ারের দৃশ্য, ৭টি সুইমিং পুলের দৃশ্য, ১টি শয্যাদৃশ্য ও ৩টি চুম্বন দৃশ্য রয়েছে।
গানের কথার সঙ্গে এসব দৃশ্যের কোনো মিল বা সংযোগ নেই। নিতান্তই গানকে দ্রুত জনপ্রিয় করার সস্তা রাস্তা হিসেবে ওই সব দৃশ্য সংযোজন করা হয়েছে।
এমনকি ভিডিওটির কভার ছবিও অত্যন্ত অশ্লীল এবং আপত্তিকর। এ ধরণের অশ্লীল ভিডিও তৈরি প্রকাশনা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা এবং পর্নোগ্রাফি আইন, ২০১২ এর ৮ ধারামতে দণ্ডনীয় অপরাধ।
নোটিশে বিটিআরসি চেয়ারম্যান, তথ্য ও যোগাযোগ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব, সংস্কৃত মন্ত্রণালয় সচিব, তথ্যসচিবকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘নেশা’ ভিডিওটি সরানোর বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়।
একই সঙ্গে ইউটিউব ও অনলাইনে মিউজিক ভিডিও’র নামে শরীর সর্বস্ব ও অশ্লীল ভিডিও তৈরি ও প্রকাশনা মনিটরিং, রোধ ও বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং আগামী ১ মাসের মধ্যে বর্তমানে অনলাইনে বিদ্যমান অশ্লীল ভিডিওগুলো সরানোর অনুরোধ করা হয়।
আইনজীবী আফতাব উদ্দিন ছিদ্দিকী রাগিব যুগান্তরকে বলেন, ‘৭২ ঘণ্টার মধ্যে গানটি না সরালে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।