অভয়নগর উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের সিংগাড়ী গ্রাম থেকে ওহিদুল ইসলাম (২৫)সহ ৪জন নেশাখোর ও গাজা বিক্রেতাকে আটক করেছে ভাটপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ। ১৭ আগস্ট বৃহঃবার সন্ধ্যায় গাজা সহ হাতে নাতে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে প্রায় অর্ধশত গাজার পুরিয়া উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে ভাটপাড়া পুলিশ তদন্ত কন্দ্রের টুআইসি কবিরুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃত আসামি ওহিদুলকে গাজাসহ আটক করা হয়েছে। পরবর্তিতে তাকে থানায় চালান দেয়া হবে।
দূর্নীতির তথ্য ফাঁস হওয়ায় অভয়নগরে মাদরাসার অধ্যক্ষ বরখাস্ত : প্রশাসনের দায়সারা তদন্ত সম্পন্ন
বি.এইচ.মাহিনী : অভয়নগরের বাশুয়াড়ী আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষের এতিমখানার অর্থ আত্মসাৎ ও দূর্নীতির খবরে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হওয়ায় প্রিন্সিপাল মাও. আবুল বাসার সাইফুল্লাহকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন কর্তৃপক্ষ। আলিম মাদরাসার পাশাপাশি খানজাহান আলী এতিমখানার নামে সরকারী বেসরকারী বিভিন্ন সংস্থা থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দায়সার তদন্ত করেছেন অভয়নগর উপজেলা সমাজসেবা অফিসের ফিল্ড সুপারভাইজার ইসহাক আলীসহ তার দুই সহকারী। তবে এখনো তদন্ত কমিটি না হওয়ায় বাশুয়াড়ীসহ ভৈরব উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাধারণ মহলে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। খোজ নিয়ে জানা যায়, বাশুয়াড়ী সিনিয়র আলিম মাদরাসার কমিটির পূর্ব নির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী গতকাল ১৬ আগস্ট বুধবার সকাল ১০টায় এক জরুরী মিটিংয়ের আয়োজন করে। মিটিংয়ে শিক্ষক ও অভিভাবক মহলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দূর্নীতি পরায়ন অধ্যক্ষ মাও. আবুল বাসার সাইফুল্লাহকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে মাদরাসার সভাপতি সাবেক দারোগা মোল্যা ইবরাহিম হোসেন জানান, মিটিংয়ে উপস্থিত সকলের সম্মতিক্রমে অধ্যক্ষকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বিষয়টি সুরাহা হওয়া সাপেক্ষে পরবর্তী বিধি মোতাবেক কার্যক্রম পরিচালিত হবে। অন্যদিকে সমাজসেবা অফিসারের দেয়া তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, এতিমখানার লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের ব্যাপারে সমাজ সেবা অফিস থেকে ৩ সদস্যের একটি অনুসন্ধানী প্রতিনিধি টিম ফিল্ড সুপারভাইজার ইসহাক আলীর নেতৃত্বে গত ১৫ আগস্ট দুপুর ১২টায় উক্ত এতিমখানা পরিদর্শনে করেছে। তবে এখনো কোনো তদন্ত কমিটি গঠন হয়নি।