ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিৎ।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের প্রেক্ষাপট- বর্তমান রাজনীতি শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, সাবেক বিচারপতি খাইরুল হক কি যুক্তি দিয়ে দেখাতে পারবেন ২০১৪ পর্লামেন্ট সংবিধানে যেভাবে দেখানো হয়েছিল সেই ভাবে গঠিত হয়েছে। যদি দেখাতে না পারেন তাহলে এই সরকারের পদত্যাগ করা উচিৎ।
খন্দকার মোশাররফ আরো বলেন, সংবিধানে আছে সরকার গঠনের জন্য প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে ১৫১ টি আসনে নির্বাচিত হতে হবে। কিন্তু তারা নির্বাচিত ছিলনা। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার যদি সংবিধান অবমাননা এবং সাংঘর্ষিক কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকে সেটা ব্যাখ্যা দেয়ার দায়িত্ব সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের।
মোশাররফ বলেন, অকার্যকর পার্লামেন্ট থেকে যে সরকার প্রতিষ্ঠা হয় সেই সরকার কিভাবে বৈধ হয়?
তিনি আরো বলেন, রায়ের পর যদি সরকারের লজ্জা থাকত, গণতন্ত্রের প্রতি যদি সরকারের মূল্যবোধ থাকত, গণতন্ত্রের প্রতি যদি সামান্য শ্রদ্ধা থাকত ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের পর সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারতো না।
আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে মোশাররফ হোসেন বলেন, সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের পর আমাদের সহায়ক সরকারের প্রতি কোন দাবি নেই। এখন আমাদের দাবি তত্ত্বাবধায়ক সরকার।
তিনি বলেন, আমাদের নেত্রী (খালেদা জিয়া) বলেছেন, নির্বাচনকালে সহায়ক সরকার হলেই কেবল নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। এখন আমাদের দাবি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার-ই সহায়ক সরকার হিসেবে কাজ করবে। তাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান কে হবে তা নিয়ে আলোচনার জন্য ক্ষমতাসীনদের আহ্বান জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।