গাজীপুর সংবাদদাতাঃ
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক বলেছেন, প্রধান বিচারপতি একজন আত্মস্বীকৃত পিচ কমিটির সদস্য, শান্তি কমিটির সদস্য। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কঠাক্ষ করা মুক্তিকামি মানুষ এটা মেনে নিতে পারে না। তিনি নিঃসন্দেহে শপথ ভঙ্গ করেছেন। আমাদের দেশের সংবিধানকে তিনি লংঘন করেছেন। তার এই উক্তির মাধ্যমে। তিনি জেনে শুনে শপথ ভঙ্গ করেছেন। তাই তার এই শপথ ভঙ্গের দায় তিনি এড়াতে পারেন না।
তিনি রোববার দুপুরে গাজীপুরে বাংলাদেশ উ›মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের সম্মেলন কক্ষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ৪২তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশের প্রধান বিচারপতি তিনি নাকি বঙ্গবন্ধুকে তেমন নেতা হিসেবে দেখেন নাই। একক নেতা হিসেবে দেখেন নাই। উনি যদি উল্লেখ্য করতেন কে কে আর নেতা ছিলেন, সেটা জাতির জন্য মঙ্গলজনক হতো। প্রধান বিচারপতি একজন আত্মস্বীকৃত পিচ কমিটির সদস্য, শান্তি কমিটির সদস্য। উনি বিচারকের সর্বোচ্চ আসনে বসে নিজেই বলেছেন- যে আমি পিচ কমিটির সদস্য ছিলাম। পরের লাইনে আবার বলেছেন আমি রাত্রি বেলা মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে যোগাযোগ করে খবরখবর দিতাম। যাকে ইংরেজীতে বলে ডাবল স্ট্যান্ডার্ড। বাংলায় বললে আমরা বলি মোনাফিকি। সকালে একটা করতেন-বিকালে একটা করতেন, রাতে আরেকটা করতেন। আমি জানিনা ওনার সেই চরিত্র প্রধান বিচারপতির আসনে বসে সেই চরিত্র কি এখনো সেটাই আছে যে ডাবল স্ট্যান্ডার্ড ? বিচার বিভাগের সাংবিধানিক পদে থেকে সর্বোচ্চ পদে থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতি তার এই দৃষ্টতাপূর্ণ উক্তির আমি কেবল নিন্দা করি তাই না, অনুরোধ করবো নিজ দায়িত্বে সেগুলো প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য। স্যুমুটো করে কারো বলার দরকার নেই। তিনি যদি অনুভব করেন তিনি সঠিক কথা বলেন নাই। তবে তার দায়িত্ব তা এক্সপাঞ্চ করা বা প্রত্যাহার করে নেওয়া। তা যদি না নেন বুঝা যাবে যে তিনি দেশটাকে একটা সংকটের মধ্যে ফেলে দিচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কঠাক্ষ করা মুক্তিকামি মানুষ এটা মেনে নিতে পারে না। তিনি নিঃসন্দেহে শপথ ভঙ্গ করেছেন। আমাদের দেশের সংবিধানকে তিনি লংঘন করেছেন। তার এই উক্তির মাধ্যমে। তিনি জেনে শুনে শপথ ভঙ্গ করেছেন। তাই তার এই শপথ ভঙ্গের দায় তিনি এড়াতে পারেন না।’
বাংলাদেশ উ›মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এ মাননান এর সভাপতিত্বে ও তথ্য ও গণসংযোগ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোঃ আবুল কাসেম শিখদার-এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গাজীপুর জেলার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও সাবেক সংসদ সদস্য কাজী মোজাম্মেল হক, প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার মোকাদ্দেম হোসেন, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আশফাক হোসেন ও রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আবুল হোসাইন আহমেদ ভুঁইয়া। পরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের নিহত সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
Check Also
আশাশুনির প্রতাপনগরে ৫ আগস্ট বন্দুকের গুলিতে নিহত ৩ শহীদের অভিভাবকদের সংবাদ সম্মেলন
এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি।। গত ৫ আগষ্ট-২০২৪ আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগরে আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান …