পাকিস্তানের সঙ্গে যারা বাংলাদেশের তুলনা করেন তাদের পরিপক্বতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নৌমন্ত্রী শাজাহান খান।
রোববার রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, যারা বাংলাদেশকে পাকিস্তানের ভাবধারায় চালাতে চায় তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একজন সাধারণ মানুষ ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন মহামানব। মহামানবের অনেক গুণাবলি তার মাঝে ছিল। তিনি মানুষকে ভালোবাসতেন। মানুষের প্রতি তার অগাধ বিশ্বাস ছিল।
শাজাহান খান বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট ২০১৩-১৫ সাল পর্যন্ত গণহত্যা চালিয়েও শেখ হাসিনার সরকারকে উৎখাত করতে পারেনি। তারা শ্রমিকদের ওপর অনেক অত্যাচার করেছিল। মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে, গাড়ি ভাঙচুর করেছে। পরিবহন মালিকদের ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। শেখ হাসিনার সরকার শ্রমিক মালিকদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ৬১ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন।
মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আছে বলে ট্রেড ইউনিয়ন করা সহজ হয়েছে। অপরাজনীতি, জঙ্গি, সন্ত্রাস প্রতিহত করা হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে। ষড়যন্ত্রকারীদের বিচার হবে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাবে। ২০৪১ সালের আগেই বাংলাদেশ একটি উন্নত দেশে পরিণত হবে।
শ্রমিক কর্মচারী পেশাজীবী মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদ ও আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচার আন্দোলন শোকসভার আয়োজন করে। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবউদ্দিন আহমদ বীর বিক্রম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমত কাদির গামা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওসমান আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবিএম সুলতান আহমেদ, শ্রমিক নেতা জেড এম কামরুল আনাম প্রমুখ।
সরকার না বুঝে আদালতকে বিতর্কিত করছে : মওদুদ
সরকার না বুঝে আদালতকে বিতর্কিত করছে। ষোড়শ সংশোধনী বাতিলে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা সমুন্নত থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।
রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিশিষ্ট রাজনীতিক, সাংবাদিক, শিল্পপতি ও সমাজহিতৈষী মুহাম্মদ মোশররফ হোসেনের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মওদুদ আহমদ বলেন, সরকার বিচার বিভাগের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। রায় মানতে না পারায় তারা বিচার বিভাগ ও বিচারকদের বিতর্কিত করে তুলছেন।
মওদুদ বলেন, ষোড়শ সংশোধনী রায়টা একটি উঁচুমানের রায়। এর মাধ্যমে দেশে সত্যিকার সামাজিক এবং রাজনৈতিক অবস্থা তুলে ধরা হয়েছে। রায়ে কোনো অপ্রাসঙ্গিক পর্যালোচনা নেই, সব মন্তব্যই সঙ্গতিপূর্ণ এবং প্রাসঙ্গিক।
তিনি বলেন, গত ৯ বছরে আমরা আদালতে কোনো সুবিচার পাইনি। এ রায়ের মাধ্যমে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষা পাবে বলে আদালতের রায়ের পক্ষে একমত পোষণ করেছি।
এতদিন পর সরকার সোজা পথে এসেছে মন্তব্য করে মওদুল বলেন, সরকার এখন রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ পিটিশন করবে। তাই যদি হয় তবে কেন প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে সরকারের মন্ত্রীরা অশ্লীল বক্তব্য দিয়ে বিচার বিভাগকে বিতর্কিত করে তুলছেন?
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য আরও বলেন, সাবেক বিচারপতি খায়রুল হকের কোনো আত্মসম্মানবোধ নেই। প্রধান বিচারপতি হওয়ার কোনো যোগ্যতা তার ছিল না। দলীয় আনুগত্যের কারণে তাকে এ পদে বসানো হয়েছিল। তিনি সর্বদা দলকে খুশি করার চেষ্টা করেছেন। বর্তমানে আইন কমিশনের চেয়ারম্যান পদ থেকে তাকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানান বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ নেতা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আয়োজক সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।