আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় এমপি আমানুর রহমান খান রানাকে পরবর্তী তারিখে বিচারিক আদালতে হাজিরের নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
একইসঙ্গে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে (স্ট্যান্ড ওভার)।
এর ফলে চেম্বার আদালতের দেয়া জামিনের স্থগিতাদেশের মেয়াদ আরো বাড়লো। ওইদিন পর্যন্ত এমপি রানা কোনো জামিন পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী রোকন উদ্দিন মাহমুদ।
মামলার তারিখে বিচারিক আদালতে আমানুরকে হাজির করা হয় না জানিয়ে এ বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে করা অ্যাটর্নি জেনারেলের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।
এর আগে জামিন বিষয়ে আদেশ সংশোধন চেয়ে আবেদন তুলে ধরে আমানুরের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী রোকন উদ্দিন মাহমুদ। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মুস্তাফিজুর রহমান খান।
গত ১৩ এপ্রিল এমপি রানাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে কেন তাকে স্থায়ী জামিন দেয়া হবে না এই মর্মে রুলও জারি করেন আদালত।
বিচারপতি মো. মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি এএনএম বসির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
হাইকোর্টের এই জামিন আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন রাষ্ট্রপক্ষ।
পরে ৮ মে এমপির রানার জামিন চার মাসের জন্য স্থগিত করেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে এই মামলা ৬ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নিম্ন আদালতকে নির্দেশ দেয়া হয়।
এর আগে গত ৩০ মার্চ এমপি রানার জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। পরে আবারও হাইকোর্টে জামিন আবেদন করা হয়।
আওয়ামী লীগের টাঙ্গাইল জেলা কমিটির সদস্য ফারুক আহমেদকে ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আমানুর গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। বর্তমানে তিনি কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন