ঢাকা: সারা জীবন মানুষের ভালোবাসা পেয়েছেন নায়করাজ রাজ্জাক। বিদায় বেলায়ও তার ব্যতিক্রম হয়নি। অগণিত সিনেমাপ্রেমীর ভালোবাসাকে সঙ্গে নিয়ে আজ বুধবার সকাল ১০টা ২০ মিনিটে বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছেন নায়করাজ।
জানা গেছে, ভোরে তার মেজো ছেলে রওশন হোসেন বাপ্পি দেশে ফেরার পর বনানী কবরস্থানে রাজ্জাকের দাফন সম্পন্ন হয়। এর আগে পর্যন্ত তার মরদেহ রাখা হয় ইউনাইটেড হাসপাতালের হিমঘরে।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে হিমঘর থেকে নায়করাজকে নেওয়া হয় তার বাসভবনে। সেখান থেকে প্রিয় কর্মস্থল এফডিসিতে। দুপুরে নেওয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। প্রতিটি স্থানে সর্বস্তরের মানুষ নায়করাজকে শ্রদ্ধা জানান। এফডিসি ও গুলশান আজাদ মসজিদে রাজ্জাকের দুই দফা জানাজা সম্পন্ন হয়।
রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ১৩ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বাংলা চলচ্চিত্রের দিকপাল, মুকুটহীন সম্রাট নায়করাজ রাজ্জাক। সেখান থেকে মঙ্গলবার সকালে তার মরদেহ শেষবারের মতো নিয়ে যাওয়া হয় গুলশানের বাসভবন ‘লক্ষ্মীকুঞ্জ’-তে। মরদেহ সেখানে পৌঁছতেই স্বজনদের কান্না-আহাজারিতে ভারি হয়ে ওঠে আশপাশ।
সেখান থেকে বেলা ১১টায় মরদেহ নিয়ে আসা হয় তার প্রিয় কর্মস্থল এফডিসিতে। শেষবারের মতো নায়করাজের এফডিসিতে আগমনে শোকার্ত পরিবেশের সৃষ্টি হয়। আগত শিল্পী-কলা-কুশলীরা ক্ষণে ক্ষণে কেঁদে ওঠেন। এফডিসিতে লাশবাহী গাড়ি খোলা রেখেই শেষবারের মতো সবাই দেখেন নায়করাজকে। এরপর একে একে শ্রদ্ধা জানায় বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তিবর্গ।
Check Also
সন্ধ্যায় আবারো সড়ক অবরোধ তিতুমীর শিক্ষার্থীদের
রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে রূপান্তরে কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত প্রকাশ না করায় আবারো সড়ক …