নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ঘুম থেকে ডেকে তুলে নিয়ে গ্রেফতার হওয়া যুবদল নেতা মো. আলম (৪০) পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে যুবদল নেতা নিহত হয়েছেন। নিহত মো.আলম স্থানীয় ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি ও আলাইয়ারপুর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক।
মঙ্গলবার ভোররাতে গ্রেফতার হওয়ার পর বৃহস্পতিবার তিনি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সহযোগীদের গুলিতে নিহত হন বলে জানায় পুলিশ।
পুলিশের দাবি, তাকে গ্রেফতারের পর তার জিজ্ঞাসাবাদমতে অস্ত্র উদ্ধারের জন্য গেলে তার সহযোগী সন্ত্রাসীরা গুলি চালালে তিনি বন্দুকযুদ্ধে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। তার কাছ থেকে একটি কার্তুজ ও একনলা বন্দুক উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
এলাকাবাসী জানায়, গত ২২ আগস্ট মঙ্গলবার ৪নং আলাইয়ারপুর ইউনিয়নের বালুচরা গ্রামের কোরষ পাটোয়ারী বাড়ির আবুল কাশেমের একমাত্র ছেলে আলম রাতে তার বাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় ছিল। এসময় সাদা পোশাকদারী লোকজন তাকে চোখ বেঁধে গাড়িতে তুলে নেয়। এরপর থেকে তার পরিবারের লোকজন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন করে। পুলিশ প্রথমে বিষয়টি অস্বীকার করে।
বেগমগঞ্জ থানার ওসি সাজিদুর রহমান সাজেদ জানান, আলম পুলিশের তালিকাভুক্ত আসামি। তার বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ থানায় কমপক্ষে ১০টি মামলা রয়েছে। আরো নয়টি মামলার ওয়ারেন্ট রয়েছে। গত মঙ্গলবার ভোরে তাকে তার গ্রামের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।কিন্তু তদন্তের স্বার্থে তা গোপন রাখা হয়।
ওসি আরও জানান, তাকে নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে অভিযানে যায় পুলিশ। আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা আলমের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। দুই পক্ষের বন্দুকযুদ্ধের মধ্যে সহযোগীদের গুলিতে আলম ঘটনাস্থলেই নিহত হন।