বরিশাল কীর্তনখোলা নদীতে জেলেদের জালে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার হওয়া তরুণী স্বেচ্ছায় নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু তিনি অলৌকিকভাবে বেঁচে যান।
১২ ঘণ্টা পর অচেতন অবস্থায় জেলেদের জালে উদ্ধার হয় ওই তরুণী। কিন্তু সবাইকে যে বিষয়টি অবাক করেছে সেটি হচ্ছে ১২ ঘণ্টা কীভাবে পানিতে থাকল ওই তরুণী। তাও অজ্ঞান অবস্থায়। এটাও কী সম্ভব। একেই বলে রাখে আল্লাহ মারে কে!
বুধবার রাতে তার জ্ঞান ফিরে আসার পর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য জানা গেছে। একই সঙ্গে তার পরিচয়ও পাওয়া গেছে।
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সত্যরঞ্জন খাসকেল জানান, জেলেদের জালে উদ্ধার হওয়া ওই তরুণীর নাম প্রিয়া আক্তার রুমা (২৫)। তিনি বরগুনার বামনা উপজেলার আবুল কালামের মেয়ে।
এসআই সত্যরঞ্জন বলেন, রুমা পুলিশকে জানিয়েছে সে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করত। লঞ্চে বরগুনা থেকে ঢাকা ফেরার পথে বৃহস্পতিবার ভোরে বরিশাল সদর উপজেলার বেলতলা খেয়াঘাট এলাকা সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীতে ঝাঁপ দেয়। এরপর সে আর কিছু বলতে পারেনি। রুমা পুলিশের কাছে লঞ্চের নামও জানাতে পারেনি।
ধারণা করা হচ্ছে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ার পর ভাসমান কিছু ধরে কিংবা কচুরিপানার মধ্যে ভেসেছিল। এ কারণে সে অলৌকিকভাবে বেঁচে যায়।
এসআই সত্যরঞ্জন জানান, রুমার বাবা আবুল কালামসহ অন্যরা বৃহস্পতিবার সকালে বরিশাল মেডিকেলে এসেছেন। সে সুস্থ হলে তাকে বাবা-মার কাছে হস্তান্তর করা হবে। তবে রুমার বাবাসহ পরিবারের সদস্যরা তাকে মানসিক রোগী বলে পুলিশের কাছে দাবি করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার বিকেলে কীর্তনখোলার চরমোনাই এলাকায় জেলেদের জালে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার হয় প্রিয়া আক্তার রুমা। খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। রাত ১১টার দিকে জ্ঞান ফিরলে তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়।