ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত কালো পতাকা মিছিলের কর্মসূচিতে অংশ নেয়ার প্রস্তুতিকালে গফরগাঁও উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ হামলা ও গুলি চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
হামলায় নাজিম উদ্দিন (৩৭) নামে এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় স্থানীয় চরআলগী ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুজ্জামানকে আটক করেছে পুলিশ।
গুলিবিদ্ধ নাজিম উদ্দিন গফরগাঁও উপজেলার চর আলগী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার চরআলগী বিশ্বরোড বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, জেলা আওয়ামী লীগের কালো পতাকা মিছিলে যোগ দিতে শুক্রবার সকালে উপজেলার চরআলগী ইউনিয়নের বেশ কিছু নেতাকর্মী গফরগাঁও রেলস্টেশনে আসছিলেন। স্টেশনের কাছাকাছি আসতেই চরআলগী ইউপি চেয়ারম্যান মাছুদুজ্জামান ও তার লোকজন অতর্কিত হামলা চালায় ও গুলিবর্ষণ করে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক চরআলগী ইউপির প্রাক্তন চেয়ারম্যান দুলাল উদ্দিন আকন্দ অভিযোগ করে বলেন, জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শোক মিছিলে যাওয়ার প্রস্তুতিকালে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুজ্জামান ওরফে ডলার মাসুদের নেতৃত্বে অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এ সময় আওয়ামী লীগ কর্মী নাজিম উদ্দিন গুলিবিদ্ধ হন। পরে বেলা ১১টার দিকে মহুয়া ট্রেন যোগে ময়মনসিংহ যেতে গফরগাঁও রেলস্টেশনে পৌঁছালে আবারো হামলা করে তারা।
গুলিবিদ্ধ নাজিম উদ্দিন অভিযোগ করেন, জেলা আওয়ামী লীগের কালো পতাকা মিছিলে যোগদানের জন্য নেতাকর্মীরা দলবেঁধে গফরগাঁও রেলওয়ে স্টেশনে আসছিলেন। এ সময় স্থানীয় চেয়ারম্যান মাসুদুজ্জামান ডলার ও তাঁর লোকজন আগ্নেয়াস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়।
এদিকে গফরগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দুলাল উদ্দিন আকন্দ দাবি করেন, ইউপি চেয়ারম্যানের গুলিতেই নাজিম উদ্দিনসহ অনেকেই আহত হয়েছেন। নাজিমকে নিজের কর্মী এবং ইউপি চেয়ারম্যান ডলারকে স্থানীয় সংসদ সদস্য ফাহমি গোলন্দাজের সমর্থক বলে দাবি করেন তিনি।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুলও গুলিবিদ্ধ নাজিম উদ্দিনকে নিজের কর্মী বলে দাবি করেছেন।
এ ব্যাপারে গফরগাঁও থানার ওসি একে এম মাহবুবুল আলম বলেন, দুই পক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। নাজিম উদ্দিনকে গুলির ঘটনায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে আটক করা হয়েছে।