ঢাকা: আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম জাতিসংঘের কাছে মানবাধিকার বিষয়ে সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন। গতকাল শুক্রবার জেনেভাতে জাতিসংঘের হাইকমিশনার জিয়াদ রাদ আল হুসেইনের সাথে দেখা করে মানবাধিকার বিষয়ক পরিস্থিতির বিষয়ে সরকারের অবস্থানে তুলে ধরেন।
তারা মত প্রকাশের স্বাধীনতা, গণতান্ত্রিক অধিকার সংকুচিত হওয়া, নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, মৃত্যুদ-, রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু, বাল্য বিবাহ, ধর্মীয় ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের প্রতি বৈষম্য এবং নারীর প্রতি সহিংসতা নিয়ে বিভিন্ন মহলের উত্থাপিত অভিযোগ সম্পর্কে সরকারের অবস্থান তুলে ধরেন।
বাংলাদেশের ওপর জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের আওতায় গঠিত কয়েকটি কমিটিতে শুনানীর সময় দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাসমূহ এসব অভিযোগ উত্থাপন করেছে। সরকার এ ব্যাপারে প্রথমে লিখিত, পরে মৌখিক এবং সর্বশেষ মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের হাইকমিশনারের সাথে সাক্ষাত করে দুই মন্ত্রী সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন।
এ ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, জিয়াদ রাদ আল হুসেইন গণতন্ত্র সুরক্ষা, সব পর্যায়ে আইনের শাসন ও সুশাসন সমুন্নত রাখা এবং মানবাধিকার রক্ষায় বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টার সাধুবাদ জানান। তিনি ২০৩০ সালের জন্য জাতিসংঘ নির্ধারিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে ‘কাউকে পেছনে ফেলে না রাখা’ এবং ‘প্রান্তিক জনগোষ্ঠির কাছে পৌঁছানো’ বিষয়ক সরকারের নীতির প্রশংসা করেন। গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোতে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের সাথে থাকার জন্য তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টার স্বীকৃতি জানান।
আইনমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের একটি দায়িত্বশীল সদস্য ও মানবাধিকার কাউন্সিলের নির্বাচিত সদস্য হিসাবে সব নাগরিকের জন্য মানবাধিকার সমুন্নত রাখার প্রতিশ্রুতি পূরণকে সরকার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়। গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও ধর্মনিরপেক্ষতা বাংলাদেশের জাতীয় মূল্যবোধের কেন্দ্রে রয়েছে।
জেনেভায় নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত শামীম আহসান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
Check Also
ট্রাইব্যুনালে আ.লীগ নেতাদের বিচার দেখতে এসে যা বললেন সাঈদী পুত্র
জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া সাবেক ৯ মন্ত্রীসহ ১৩ জনকে …