রাখাইনে ফের সৃষ্ট সংঘাতে বাংলাদেশ সীমান্তে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছে মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষীরা।
শনিবার দুপুরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তমব্রু এলাকায় শূন্যরেখায় আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের লক্ষ্য করে সীমান্তের ওপার থেকে গুলি চালায় মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)।
বাংলাদেশ সীমন্ত রক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবির) কক্সবাজার-৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মঞ্জুরুল হাসান খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, শনিবার বেলা ১টার দিকে মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষীরা বাংলাদেশ সীমান্তে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের লক্ষ্য করে তিন থেকে চার রাউন্ড গুলি ছুড়ে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
গুলির ঘটনার পর বাংলাদেশ সীমান্তে সতর্কতা বাড়ানো হয়েছে বলে জানান সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর এ কর্মকর্তা।
মিয়ানমার সরকারের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ৩০টি পুলিশ ক্যাম্পে হামলায় দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১২ সদস্যসহ অন্তত ৭১ জন নিহত হয়েছে।
ওই হামলার ঘটনায় উত্তেজনা আর শঙ্কার মধ্যে কক্সবাজার ও বান্দরবান সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করছে। তবে নতুন করে রোহিঙ্গা শরনার্থীদের বাংলাদেশে প্রবেশে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বিজিবি।
ফলে শুক্রবার থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের পর নাফ নদীর প্রায় চার কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীরে বসে আছে অসহায় কয়েক হাজার রোহিঙ্গা। ইতিমধ্যে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় প্রায় দু’ শতাধিক রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে ফেরতও পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারে জাতিগত নিপীড়নের শিকার হয়ে বাংলাদেশে ৫ লাখের বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়ে আছে কয়েক দশক ধরে। মুসলিম রোহিঙ্গাদের নিজ দেশের নাগরিক হিসেবে অস্বীকার করে আসছে মিয়ানমার সরকার।