বাংলাদেশ সীমান্ত সুরক্ষিত রাখতে বিজিবি সদা প্রস্তুত রয়েছে উল্লেখ করে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কোনও বিদেশি নাগরিককে অনুপ্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে যেকোনও ধরনের পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত রয়েছে বিজিবি। রোহিঙ্গারা সুনাগরিক– সেটা তাদেরই প্রমাণ করতে হবে।’ মেজর জেনারেল আবুল হোসেন আরও বলেন, ‘মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিজিপির পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ওপর ছোড়া গুলি বাংলাদেশ সীমানায় আসেনি। যদি বাংলাদেশের সীমানায় আসে আমরা সমুচিত জবাব দেবো।’ যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে সীমান্তের ক্যাম্পগুলোতে বিজিবির সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।’ এসময় বিজিবি মহাপরিচালকের সঙ্গে বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে রাখাইনে ফের সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। সন্ত্রাসী হামলার জের ধরে রাজ্যের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত গ্রামগুলোয় কঠোর অভিযানে নামে দেশটির সেনাবাহিনী। এরপর থেকে সেখানে ৯০ জনের মতো নিহত হয়েছেন। জীবন বাঁচাতে সীমান্ত পেরিয়ে রোহিঙ্গারা দলে দলে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছে। তাদের ঠেকাতে সীমান্তে কড়া নজরদারি করছে বিজিবি।