জি,এ, গফুর, পাইকগাছা ॥ পাইকগাছায় চিকিৎসা সেবার নামে বিভিন্ন স্থানে অনুমোদনহীন ক্লিনিকে ঝুকিপূর্ণ অপারেশনের অভিযোগ ; প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। অন্যদিকে অনেক প্রতিষ্ঠিত ক্লিনিক শুধুমাত্র আবেদন করেই অপারেশনের কার্যক্রম শুরু করেছে বলে জানা গেছে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশনার পরেও ঐ সমস্ত ক্লিনিকের কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে লক্ষ্য করা গেছে। ভূক্তভোগীরা সহ সচেতন এলাকাবাসী প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। জানা গেছে, উপজেলার পৌর সদর, কপিলমুনি, বাঁকা এ পর্যন্ত ১০টি ক্লিনিক গড়ে উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, অনেক ক্লিনিক স্বাস্থ্য সেবার নামে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় ভাড়াটে স্থানে যেনতেন ভাবে প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে সেখানে অনুমোদন না নিয়েই ঝুকিপূর্ণ অপারেশনসহ স্বাস্থ্য সেবার নামে অপারেশন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেক ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসা ও অপারেশনে অনেক রোগী ও প্রসুতি মায়ের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। উপজেলার রাড়–লীর বাঁকা বাজারে ৩টি ক্লিনিক রয়েছে। অনুমোদন না থাকায় একটি গলির মধ্যে অস্বাস্থ্য অবস্থায় আশালতা নামে একটি ক্লিনিকের খুলনা সিভিল সার্জন ডাঃ আব্দুর রাজ্জাক সরেজমিন প্রদর্শনের পর কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশনা দিলেও তা কার্যকর হয়নি। সেখানে প্রতিনিয়ত অপারেশন চলছে বলে জানা গেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ অনুমোদনহীন এ প্রতিষ্ঠানটিতে ডুমুরিয়ার দেবাশীষ মন্ডল নামে এক যুবক পরিচালনা করে আসছে অনেককে ম্যানেজ করে। এখানে সকাল-বিকেল এক ধরণের যুবকদের আড্ডা হয় বলে স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহান আলী গাজী সহ অনেকেই জানিয়েছেন। এ অভিযোগ প্রসঙ্গে জানার চেষ্টা করা হলে ডাক্তার নামে ঐ যুবক তথ্য গোপন করে বলেন, এখানে মানুষ চিকিৎসা সেবা পেয়ে থাকে এবং সে অনুমোদনের আবেদন করেছেন বলে জানিয়েছেন। আরো জানা গেছে, এই ক্লিনিকে বিভিন্ন নামী-দামী ডাক্তারদের নাম ব্যবহার করে পরিচালনা করে আসছে। অপরদিকে, পাইকগাছা পৌর সদরে নুরজাহান ক্লিনিক ও ফারিন হসপিটাল কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে শুধুমাত্র আবেদন করে অপারেশন কার্যক্রম শুরু করেছেন বলে জানা গেছে। অথচ, এসব ক্লিনিকে কোন সার্বক্ষণিক নার্স ও ডাক্তার থাকেন না বলে লক্ষ্য করা গেছে। এ বিষয়ে উপজেলার স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডাঃ প্রভাত কুমার দাশ বলেন, খুলনা সিভিল সার্জন মহোদয় বাঁকার আশালতা ক্লিনিকে সরেজমিনে পরিদর্শনের পর অনুমোদনহীন এ ক্লিনিকের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশনা দেন। এরপর চুরি করে কার্যক্রম শুরু হলে আমি সহ সিভিল সার্জন মহোদয় আবারো পরিদর্শনে গেলে প্রতিষ্ঠান পরিচালক তালা মেরে গা ঢাকা দেয়। এরপর আমরা থানাপুলিশ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করেছি। এ অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফকরুল হাসান জানান, ইতোমধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তাসহ ও খুলনা সিভিল সার্জন মহোদয়ের সাথে আমার কথা হয়েছে। আমরা অচিরেই অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থা নেব।
পাইকগাছায় প্রকাশ্য দিবালোকে টাকা ছিনতাইকালে ৩ ছিনতাইকারী আটক : থানায় মামলা
পাইকগাছা প্রতিনিধি ॥
পাইকগাছায় প্রকাশ্য দিবালোকে ৩ ছিনতাইকারী রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় ব্রিটিশ-আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানীর পাইকগাছা এরিয়া ম্যানেজারের ২ লক্ষাধিক টাকা ছিনতাই করে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার পথে তাদের ব্যবহৃত মটরসাইকেলসহ আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাটি উপজেলার কাটাখালী রোডের স্মরণখালাী নামকস্থানে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে। জানা যায়, উপজেলার কাটাখালী রোডের স্মরণখোলা নামকস্থানে ব্রিটিশ-আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানীর এরিয়া ম্যানেজার আমিনুর রহমান কোম্পানীর আদায়কৃত ২ লাখ ৩৩ হাজার ৮শ টাকা নিয়ে ইসলামী ব্যাংকে জমা দেয়ার জন্য পাইকগাছায় আসছিল। পথিমধ্যে তার পিছু নেয়া ৩ ছিনতাইকারী তাকে মটরসাইকেলের গতিরোধ করে টাকা ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। ছিনতাইকারীরা হলো ঢাকার মুন্সিগঞ্জের মৃত মেছের আলীর ছেলে শাহআলম (৩৫), দাকোপ উপজেলার লক্ষ্মীখোলা গ্রামের ললিত মল্লিকের ছেলে জীবন মল্লিক (৩৫) ও মাদারীপুরের গোয়ালদি গ্রামের শাহজাহানের ছেলে রবিউল ইসলাম (৩৩)। ছিনতাইকারীরা খুলনার গল্লামারী ও নিরালায় বসবাস করে বলে জানা যায়। এ ব্যাপারে ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, ছিনতাইকারীরা ছিনতাই ছাড়া বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত আছে বলে ধারণা করছি। তাদের ঠিকানায় খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে।