ঢাকা : আগুন ঝরালেন প্যাট কামিন্স। অস্ট্রেলীয় পেসারের গতিতে বিভ্রান্ত বাংলাদেশের ব্যাটিং। স্কোরবোর্ডে ১০ রান উঠতেই নেই ৩ উইকেট। ফিরে গেলেন সৌম্য সরকার, ইমরুল কায়েস আর সাব্বির রহমান—বড় বিপর্যয়। কিন্তু সেই ধ্বংসস্তূপের মধ্যে দাঁড়িয়েই ইনিংস গড়েছেন দেশের হয়ে নিজেদের ৫০তম টেস্ট খেলতে নামা সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল। চতুর্থ উইকেটে এই দুজনের যোগ করা ১৫৫ রানেই বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়ানো। তামিম ৭১ রানে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের শিকার হন। সেঞ্চুরি থেকে ১৪ রান দূরে থাকতে আউট হন সাকিব। তাঁর উইকেটটি নাথান লায়নের। এরপর ষষ্ঠ উইকেটে মুশফিক-নাসিরের জুটিও বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি।
ব্যক্তিগত ১৮ রানে অ্যাগারের শিকার হন অধিনায়ক মুশফিক। একটু পরে আউট হয়ে গেছেন মিরাজও (১৮) ও নাসির (২৩)। শফিউলের দুটি চারেই আড়াই শ পেরিয়েছে বাংলাদেশ।
সাকিব-তামিমের জুটিটি টেস্টে চতুর্থ উইকেটে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটি। ১৪৪ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় তামিম সাজান নিজের ইনিংসটি। ম্যাক্সওয়েলের হঠাৎ লাফিয়ে ওঠা বলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আউট হন এ ওপেনার। টেস্টের প্রথম দিনই উইকেটে দেখা যাচ্ছে অসমান বাউন্স। সেটিরই সুবিধা নিয়েছেন অস্ট্রেলীয় বোলাররা। সাকিবের ইনিংসটি পাল্টা আক্রমণকে পুঁজি করে। ১৩৩ বলে তাঁর ৮৪ রানের ইনিংসে ছিল ১১ বাউন্ডারির মার।
অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ৩ উইকেট কামিন্সের। একটি করে উইকেট পেয়েছেন নাথান লায়ন ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
এর আগে ওপেনিংয়ে তামিমের সঙ্গী হয়ে নেমেছিলেন সৌম্য। কিন্তু বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। অফ স্টাম্পের বাইরের বলে নিজের দুর্বলতা প্রকাশ করেই ৮ রান করে ফিরেছেন।
কামিন্সের অফ স্টাম্পের বাইরের একটি বলে খোঁচা দিয়ে গালিতে পিটার হ্যান্ডসকম্বের হাতে ধরা পড়েন। কামিন্সের পরের ওভারের শেষ দুই বলে আউট হয়ে ফিরেছেন ইমরুল কায়েস ও সাব্বির রহমান। ইমরুল হয়েছেন এলবিডব্লিউ। সাব্বির উইকেটের পেছনে ধরা পড়েছেন ম্যাথু ওয়েডের হাতে।