নাটোর সংবাদদাতা:নাটোরের নারদ নদের অবাধ পানি প্রবাহ, দখল উচ্ছেদ ও দুষণ প্রতিরোধ: সুশানের চালেঞ্জ এবং উত্তরণ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভা এবং কুইক সার্ভে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে নারদ নদ রক্ষায় মতামত জরিপ রিপোর্ট প্রকাশ করেন সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান টুটুল। পরে সনাক সভাপতি রেজাউল করিম রেজার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মনিরুজ্জামান ভূঁঞা, নাটোর পৌর মেয়র উমা চৌধুরি জলি সহ অন্যান্যরা। চলতি বছরের ১৩ জুলাই নারদ নদ সম্পর্কিত উল্লেখিত বিষয়ের ওপর সনাক নাটোরের ইয়েস দলের সদস্যদের দ্বারা শহরের বড় হরিশপুর, মাদ্রাসা মোড়, চকরামপুর, কানাইখালী, কানাইখালী, স্টেশন বাজার, হাফরাস্তা, বড়গাছা, পশ্চিম বাইপাস, তেবাড়িয়া, মল্লিকহাটি ও আলাইপুর এলাকার বিভিন্ন পর্যায়ের ২৪২ জন সাধারণ জনগনের মধ্যে জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। তাদের মতামতের ভিত্তিতে তৈরী জরিপ রিপোর্ট প্রকাশের পর মত বিনিময় সভায় উপস্থিত সদস্যরা তাদের মতামত প্রকাশ করেন। বক্তারা জরিপে নারদ নদ উদ্ধার আন্দোলন, দখল উচ্ছেদ ও দূষণ প্রতিরোধে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেন।
মোঃ রিয়াজুল ইসলাম
নাটোরে গণ মনস্তাত্ত্বিক রোগে ১০ ছাত্রী অসুস্থ
নাটোর সংবাদদাতা
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় গণ মনস্তাত্ত্বিক রোগে আক্রান্ত হয়ে দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১০ জন ছাত্রী অসুস্থ হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে রহিমানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে এবং পেড়াবাড়িয়া দাখিল মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে। অসুস্থ ছাত্রীদের বাগাতিপাড়া স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। রহিমানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রওশন আলী জানান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষ্যে সকাল নয়টায় শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয় মাঠে সমবেত হয়। সেসময় ষষ্ঠ শ্রেণীর হাফসা খাতুন নামের এক শিক্ষার্থী প্রথমে মাথা ঘুরে অসুস্থ হয়ে পড়ে। সেসময় ওই ছাত্রী বার বার মুর্ছা যায়। এরপরপরই একই শ্রেণীর উম্মে হাবিবা, নাবিলা খাতুন, সপ্তম শ্রেণীর যুথি খাতুন, সোনালী আখতার, রিয়া খাতুন, মাসুমা খাতুন, বন্যা খাতুন, নবম শ্রেণীর তৃষা খাতুন একই সমস্যা নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাদের দ্র”ত বাগাতিপাতিপাড়া স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে নেওয়া হয়। এদিকে সকাল ১০ টার দিকে পেড়াবাড়িয়া দাখিল মাদরাসা অষ্টম শ্রেণীর কেয়া খাতুন নামের অপর এক শিক্ষার্থী একই সমস্যা নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, ছাত্রীরা সকালে সবাই না খেয়ে বিদ্যালয়ে যাওয়ায় শারিরীকভাবে দূর্বল ছিল। সেখানে তারা গন মনস্থাত্ত্বিক রোগে (মাস সাইকোজেনিক ইলনেস) আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়।